ঈদের দিনের আমল

লেখক: হাফেজ মাওলানা জাবেদ হোসাইন
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে
ঈদের দিনের আমল

ঈদুল ফিতরের দিন পালনীয় কিছু সুন্নাত ও ঈদের নামাযের নিয়ম-পদ্ধতি জানা আমাদের সবারই উচিত তাই নিম্নে পেশ করা হলো-

ঈদের দিনের সুন্নাতসমূহ:

০১। অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া।

০২। মিসওয়াক করা।

০৩। গোসল করা।

০৪। শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা।

০৫। সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা।

০৬। সুগন্ধি ব্যবহার করা।

০৭। ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে মিষ্টি জাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া।

০৮। সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া।

০৯। ঈদুল ফিতরে ঈদগাতে যাওয়ার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা।

১০। ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা।

১১। যে রাস্তায় ঈদগাতে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরা।

১২। পায়ে হেটে ঈদগাহে যাওয়া।

১৩। ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আস্তে আস্তে এই তাকবীর পড়তে থাকাঃ

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে উক্ত সুন্নতগুলোর উপর আমল করার তাওফিক দান করুন।

 

ঈদুল ফিতরের নামায পড়ার নিয়ম-পদ্ধতি

______________________________

ঈদের নামায বছরে পড়তে হয় মাত্র দুইবার, ফলে অনেকেই এর নিয়মকানুন একটু ভুলে যান। অনেকেই কখন হাত বাঁধবেন, কখন হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবেন এটা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন। এমনকি অনেকে একবার ডানপাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন আরেকবার বামপাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন। অথচ বিষয়টা খুবই সহজ। মূলত বিব্রত হতে হয় অতিরিক্ত ৬টি তাকবীর নিয়ে। নিচে ঈদের নামাযের সংক্ষিপ্ত নিয়ম দেওয়া হলো।

 

প্রথমে ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়ত করে তাকবীর (আল্লাহু আকবর) বলে তাহরিমা বাঁধতে হবে ইমামের সাথে সাথে। এরপর নীরবে সানা অর্থ্যাৎ সুবহানাকা সানা পাঠ করতে হবে।

 

এরপর ইমাম তিনবার উচ্চঃস্বরে তাকবীর বলবে। প্রত্যেকবার তাকবীর বলবার সাথে সাথে কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলতে হবে। প্রথম দুইবার হাত নীচে ছেড়ে দিতে হবে আর তৃতীয়বার হাত বাঁধতে হবে। অতঃপর ইমাম উচ্চঃস্বরে সূরা পাঠ করবেন। মুক্তাদিগণ তখন নিরব থেকে তা শুনবে। ইমামের পিছনে রুকু-সেজদা করে দ্বিতীয় রাকাতে একইভাবে ইমাম সূরা পড়বে।

 

দ্বিতীয় রাকাতের শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে ইমাম তিনবার তাকবীর পাঠ করবেন। তিনবারই হাত ছেড়ে দিতে হবে, হাত বাঁধা যাবে না। এই তিন তাকবীর বলার সময় প্রত্যেকবার কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠিয়ে তাকবীর বলার পর দুই হাত দুই পাশে ঝুলিয়ে রাখবে এবং হাত ঝুলন্ত থাকা অবস্থায়ই তাকবীর বলে রুকুতে যেতে হবে। এর পার সাধারণ নামাযের মতোই ইমাম নামায শেষ করবেন। তবে কারো কোনো কারণে ঈদের নামায নষ্ট হয়ে গেলে বা নামায ছুটে গেলে পুনরায় বা একা একা পড়লে হবে না। সুতরাং সময় মত আমরা ঈদগাহে উপস্থিত থাকবো।

 

বি. দ্র. নামায শেষ করে চলে গেলে চলবে না বরং কথা না বলে নিরব থেকে খুৎবা শুনতে হবে। কারণ খুৎবা শোনা ওয়াজিব।