একমাত্র লাভজনক চিনিকল কেরু, তাও চিনি থেকে নয়


চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু চিনিকল সরকারের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে একমাত্র লাভজনক এবং গত অর্থবছরে এই লাভের পরিমাণ ছিলো প্রায় ১৪ কোটি টাকা।
এই কারখানায় অবশ্য শুধু চিনি উৎপাদনে লোকসান হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। তবে অন্য খাতের লাভ থেকে সেই লোকসান মিটিয়ে বাড়তি থেকেছে ওই ১৪ কোটি টাকা।
এই লাভ এসেছে এই চিনিকলের ডিস্টিলারি এবং বায়ো-ফার্টিলাইজার বিভাগ থেকে।
মূলত অ্যালকোহল, ভিনেগার আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে এ লাভ এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।
গবেষক মোশাহিদা সুলতানার মতে, বেসরকারি খাতে সম্পূর্ণ কোন চিনি কল নেই। তিনি বলেন, বেসরকারি চিনি আমদানীকারকরা র চিনি এনে রিফাইন করে বাজারজাত করছে এবং বাজারের পুরোটাই এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
তিনি মনে করেন, চিনিকল বেসরকারি উদ্যোগে হওয়াটা অসম্ভব, কারণ ‘মিল ও চাষীর নিবিড় সম্পর্ক একটি সংস্কৃতির বিষয়’।
তিনি বলেন, “চিনিকলের অনেক সম্পদ, জায়গা-জমি। পাটকলের মতোই সেগুলোর দিকে নজর পড়েছে বলেই বন্ধের কথা বলা হচ্ছে। আধুনিকায়নের নামে কার্যক্রম বন্ধ করা তারই সূচনা মাত্র”।
সনৎ কুমার সাহা অবশ্য বলছেন যে চিনিকল পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা বা ইচ্ছে সরকারের নেই।
যদিও আগাম আখ চাষের জমির পরিমাণ হ্রাস, নিচু জমিতে আখ চাষ, উচ্চ চিনি আহরণযুক্ত ইক্ষুর জাতের অভাব, অপরিপক্ব আখ মাড়াই এবং পুরাতন যন্ত্রপাতির সমস্যা মোকাবেলা করে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো কতদিন টিকতে পারবে – সেটি অনেকের কাছে এখন বড় প্রশ্ন।
সুত্রঃ বিবিসি নিউজ