কবিতাঃ “প্রতীক্ষমাণ”


গোধূলি বিকালে,পশ্চিমা আকাশে সূর্য ঢলে পড়ে।
সমগ্র কোলাহলমুক্ত হয়ে, পাখিরা ফিরে নীড়ের টানে।
সমস্ত সবুজ পাতা যায়, আঁধারে লুকিয়ে।
সেদিনের মতো করে, আজও কি আমায় ডাকবে সে?
হাওয়ার তালে তালে, হৃদয়ের স্পন্দন বাজে।
সুরের মোহনায় ভেসে আসে, ছলাৎ ছলাৎ শব্দ করে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে। সেদিনের মতো করে, আজও কি আমায় ডাকবে সে?
এই সাংঘাতিক মনোহর, দৃশ্য অনুভব করবার তরে।
নিশাকুসুম ঝরে পরে, নিভু নিভু বাতি জ্বলে। ঘন ঘন নিশ্বাস পরে,
শীতের ধোয়া উড়ে।
উঠানে এক কোণে, নিসাড় হয়ে লাল গোলাপটি আমায় ইশারায় ডাকে।
আমি বলি তাকে, দূরে যাও সরে।
আমি দেখার তুষ্টিসাধন করি, এ বারান্দা হতে। কাছে গিয়ে ছুঁয়ে দিলে, তোমার সৌন্দর্য যাবে নুয়ে।
সেদিনের মতো করে, আজও কি আমায় ডাকবে সে?
বনিবনার সুতোয় মুড়িয়ে, গেঁথে নিবে হৃৎ-মাঝারে।
কলমেঃ সানজানা খাঁন