চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর লাইটার জাহাজের ব্যস্ততা বেড়েছে।


গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে কর্ণফুলীর ১৬ ঘাটে পুরোদামে শুরু হয়েছে পণ্য খালাসের কাজ। মাঝিরঘাট, আনুমাঝির ঘাট, এভারগ্রিন ঘাট ও বাংলাবাজার ঘাটে শ্রমিকদের কর্মব্যস্ত দিন পার করতে দেখা গেছে। লাইটার জাহাজ থেকে ক্রেনের সাহায্যে বস্তাভর্তি পণ্য নদীপাড়ের পল্টুনে আনলোড করা হচ্ছে। বস্তাভর্তি গম, ডাল জাতীয় ওইসব পণ্য পল্টুন থেকে শ্রমিকরা কাঁধে তুলে ট্রাকে বোঝাই করছেন।
পণ্য খালাস প্রসঙ্গে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, লাইটার শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর বিরূপ আবহাওয়ায় বহির্নোঙরের পণ্য খালাসে একটু বেগ পোহাতে হয়েছে। কারণ ভারী বৃষ্টিপাত হলে বর্হিনোঙরে থাকা জাহাজে খোলা পণ্য যেমন ডাল, চিনি, গম ক্লিংকার জাতীয় পণ্য খালাস বন্ধ রাখতে হয়। না হয় পণ্য ভিজে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে গতকাল থেকে আবহাওয়া ভাল হওয়ায় লাইটার জাহাজ পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজে প্রায় ১২ লাখ টন খোলা পণ্য আছে। এসব পণ্য খালাসের জন্য কাজ শুরু করেছে লাইটার জাহাজ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন বলেন, বহির্নোঙরে পণ্য খালাস করতে লাইটার জাহাজ ভিড় করছে। কয়েকদিন কাজ বন্ধ থাকার পর শ্রমিকরা আবার কাজে যোগ দিয়েছে।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ মো. ইছা মিয়া জানান, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর সাগর উত্তাল ও ভারী বর্ষণের কারণে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসে যেতে পারেনি লাইটার জাহাজগুলো। ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) সিরিয়াল নিয়ে রাখা বড় লাইটার জাহাজগুলো শনিবার সকাল থেকে রওনা হয়েছে।