চলো বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করি।


জীব বৈচিত্রতা রক্ষার্থে , সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মৎস উৎপাদন বাড়াতে সারাদেশে জলাশয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভূপৃষ্ঠে পানি সংরক্ষনের আহবান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শীতকালে এবং গ্রীষ্মকালে পানির সংকট সর্ব্বেোচ্চ পর্যায়ে পৌছায় , কেননা তখন বৃষ্টিপাত কম হয় এবং জলাশয়গুলো শুকিয়ে যায়। উপরন্তু এই কষ্টের সাথে সংযোজিত হয়েছে , জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকাগুলোতে লবনাক্ত পানির হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া।
বাংলাদেশে পানির সংকট নেই , কিন্তু বর্তমানে দূষনের ফলে নিরাপদ পানির আচ্ছাদন কেবল ৫৫% । আমাদের ৮০ ভাগ নদী মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে, আর ১০০ ভাগ নদীই তাদের প্রাকৃতিক স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে কেননা উজান থেকে এখন আর পনি নামছে না। তাই পান করার পানির একটা বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যেসকল এলাকার পানি লবনাক্ত এবং যেখানে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি রয়েছে। কিন্তু ঐসকল এলাকায় এখনো বৃষ্টির পানি সফলজনক ভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে না।
বৃষ্টির পানির অনেক উপকারিতা রয়েছে
১. বৃষ্টির পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বক উজ্বল হয়।
২. বৃষ্টির পানি দিয়ে কাপড় ধৌত করলে কাপড় পরিষ্কার হয়।
৩. তাছাড়া বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃষ্টির ফলে রাস্তা ঘাটে যে প্লাবন হয় তা প্রতিরোধ করা ও সম্ভব।
প্রতিটি বাসা বাড়ির বৃষ্টির পানি যেনো রাস্তায় যেতে না পারে সেই লক্ষে বাসা বাড়ির বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন্
বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের বিষয়ে মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি সারা দেশব্যাপি প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে একটি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এই বিষয়ে অনেক পরিকল্পনা এবং নীতি নির্ধারণ করা হচ্ছে , কিন্তু বিশুদ্ধ পানির সংকট মোকাবেলার জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের আইনটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
ব্যাপক পরিসরে বলতে গেলে , সারা দেশে খাল, বিল এবং নদীসমূহের জলের সঞ্চার বাড়াতে গেলে এুগুলো খনন করতে হবে।
সর্ব্বোপরী সরকারী এবং বেসরকারী উদ্যোগে সম্মিলিতভাবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষনের এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে, কেননা আমরা সবাই জানি বিশুদ্ধ পানি ছাড়া আমাদের জীবনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।