মেরামত কিংবা সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। বহু আগেই হারিয়েছে স্থায়িত্ব। এর মাঝে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে আবারও ঝুঁকির মুখে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ। শহরের বড়স্টেশন ও পুরানবাজারে বাঁধে ধস নামায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। তবে দ্রুত বাঁধ সংস্কারের আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনার বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। সেই ঢেউয়ের আঘাতে ধসে পড়েছে বাঁধ। বাঁধে ধরেছে ফাটল। আর দেবে গেছে সিসিব্লক। এতে ভাঙনের মুখে চাঁদপুর শহরের জনবহুল পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র পুরানবাজার এবং তার উল্টো দিকে তিন নদীর মোহনায় বড়স্টেশন।চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার মন্দির এলাকার বাসিন্দা আসমা ও মাসুদা। প্রতিনিয়ত ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। তাদের মতো ওই এলাকায় অনেক পরিবারের বসবাস। একই আতঙ্কে দিন কাটছে সবারই। স্থানীয়দের এখন একটাই দাবি- দ্রুত সময়ের মধ্যে যেনো বাঁধ সংস্কার করে তাদের রক্ষা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আসমা জানান, এখন তাদের ঠিক মতন ঘুম হয় না। নদী বারবারই তাদের গিলে খাচ্ছে। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আবারও সব হারাতে হবে।তবে তড়িঘড়ি কিংবা দায়সারাভাবে কাজ না করে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, ‘বর্ষার মধ্যে তড়িঘড়ি কিংবা দায়সারাভাবে নয়, মানসম্মত এবং টেকসইভাবে তৈরি করা হোক চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ। শুধু চাঁদপুর শহরবাসী নয়, এর সঙ্গে প্রসিদ্ধ পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র পুরানবাজারের স্বার্থ রয়েছে।’পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়াদ শেষ হওয়ার দীর্ঘদিনেও মেরামত করা হয়নি বাঁধ। তবে নতুনভাবে সংস্কার করতে এরইমধ্যে দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে এ বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তারপর দরপত্র সম্পন্ন করা হয়।’পানি উন্নয়ন বোর্ডে তথ্য মতে, ২০১০ সালের পর এবারেই মেঘনাপাড়ের চাঁদপুর শহর রক্ষায় ৮২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ মিলেছে। যা দিয়ে ৩ হাজার ৩৬০ মিটার নদীতীর সংরক্ষণে সিসিব্লক ও জিওব্যাগ ডাম্পিং ও প্রতিস্থাপন করার কথা রয়েছে।
সূএ: সময় নিউজ
<p>সম্পাদক ও প্রকাশক: লিটন হোসাইন জিহাদ</p>
© PothikTV Media Center