জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্রিকেট খেলায় মোট ৩০৩টি বাজি ধরেছিলেন ব্রাইডন কার্স। সেই অপরাধের কারণে এবার বড় শাস্তি পেয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। আগামী ৩ মাসের জন্য তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড।
৩ মাসের পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ১৩ মাসের স্থগিতাদেশ নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়েছে কার্সকে। শুক্রবার (৩১ মে) প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কার্সকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসিবি। ক্রিকেটের দুর্নীতিবিরোধী একটি ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, পেশাদার কোনো খেলোয়াড়, কোচ, কোচিং স্টাফের সদস্য এবং খেলাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ বিশ্বের কোথাও বাজি ধরতে পারবেন না। এই ধারা লঙ্ঘন করেই এবার শাস্তি পেয়েছেন কার্স।
খেলাধুলার নিয়মনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়াদি পর্যবেক্ষণের জন্য ইসিবির নতুন স্বাধীন সংস্থা ক্রিকেট রেগুলেটর। এই সংস্থা কার্সের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। অভিযোগ নিয়ে তদন্তের পর কার্সের দোষ খুঁজে পায় সংস্থাটি। কার্স নিজেও তার দোষ স্বীকার করে নেন।
ক্রিকেট রেগুলেটর তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘তদন্তের কাজে কার্স আমাদের সহযোগিতা করেছেন এবং কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করেছেন।’
শাস্তির বিষয়ে কার্স নিজেও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘বাজিগুলো কয়েক বছর আগে ধরলেও এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না। আমি আমার কার্যকলাপের সব দায় (মাথা পেতে) নিচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমাকে সমর্থন দেওয়ায় আমি ইসিবি, ডারহাম এবং প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আগামী ১২ সপ্তাহ আমি কঠোর পরিশ্রম করব এবং এটা নিশ্চিত করছি, আপনারা আমাকে যে সমর্থন দিচ্ছেন, তা আবারও খেলতে নেমে শোধ করব।’
ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ ওয়ানডে এবং ৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্স। দুই সংস্করণ মিলিয়ে নিয়েছেন ১৯ উইকেট। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গেছে তাকে। সম্প্রতি জিমি অ্যান্ডারসন অবসরের ঘোষণা দেয়ায় কার্সকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আনতে চেয়েছিল ইসিবি। তবে এই ঘটনার পর কার্সের জাতীয় দলে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে গেল।
<p>সম্পাদক ও প্রকাশক: লিটন হোসাইন জিহাদ</p>
© PothikTV Media Center