
নাসিরনগর আমার গ্রাম ।
ওই গাঁয়ে তে বাড়ি আমার মেঠো পথে ধারে,
জেলার নামটি বি,বাড়িয়া,তিতাস নদীর পাড়ে।
বাড়ির পাশে বটের ছায়া সেথায় জিড়ায় কতো পথিক ভায়া।
বটের ছায়ায় রাখাল বাঁজায় মোহন বাঁশির সুর
বাংলাদেশর পূর্ব সীমান্তরে বি,বাড়িয়া জেলা ।
সকাল হলে রাখাল ছেলে ঘর ছেড়ে যায় মাঠে, গরু নিয়ে ঘরে ফেরে সূর্য গেলে ডুবে ।
সকাল হলেই কৃষাণ ভায়া যায় যে মাঠে হাতে কোঁদাল কাদে নিয়ে ,
বিকাল হয় তার ঘরে ফিরতে কর্ম সেরে আসতে।
বৈশাখ মাসে উত্তর আকাশে মেঘ করেছে কালো, গাঁয়ের বধূ চিন্তা করে অবেলাতে আমার মনা কোথায় গেলো।
রাজ বাড়ির সেথায় আরো আছে গোকর্ণ নদীর ঘাট।
সেথায় বসেই রাজা লিখেছিলেন নকশী কাঁথার মাঠ।
নিমন্ত্রণ দিলাম আইসো বন্ধু আমার বাড়ি, বি,বাড়িয়া জেলায়,
পরাণ ভরে খেয়ে যেও বিন্নি চাউলের পায়েস ।
যে গাঁয়েতে জন্ম আমার
তুলনা তার নাই,
পাশের গাঁয়ে বাবা কেল্লাসার বাড়ি করমপুর
একটি মাজার দেখতে পাই।
যদি তুমি আসো বন্ধু আমার বাড়িতে,
জোসৎনা রাতে রূপ কথার গল্প শুনাবো বসাইয়া পাটিতে।
আরো আছে তিতাস নদীর ঘোলা জলের
কাজকি মাছের ২২ রশি কেল্লা বাবার বাড়ি গেলে
বুঝবে আনন্দ কি জিনিস।
লেখলাম আমি অল্পকিছু বি,বাড়িয়ার কথ, স্মৃতি পরে রইলো মনে পরে কতো গল্প গাঁথা।
আজকে আমি আসিরে ভাই যাবো বহুদুর,
গাঁয়ের পথে পা বাড়ালাম বাড়ি, বি-বাড়িয়া নাসরিনগর
শেষে আমি বলছিরে ভাই ধন্য আমি ধন্য,
বি-বাড়িয়া জেলা আমার, নাসিরনগরের মাঠিতে আমার জন্ম, কাব্য আমি লিখলাম শুধু
এই পরিচয়ের জন্য।
♥কলমে জেরিন আক্তার♥
এম.চৌ:/পথিক নিউজ