ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পাঘাচং গ্রামে আহলে হাদিসের একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়লে আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে একে ‘ধর্মীয় নিপীড়নের চিত্র’ হিসেবে তুলে ধরে অভিযোগ করে বলা হয়, এটিকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মসজিদটি অক্ষত অবস্থায় নির্মাণাধীন কাজ চলমান রয়েছে, এবং প্রকৃতপক্ষে একটি দোকান ঘর ভাঙা হয়েছে।
জানা গেছে, পাশাপাশি ১০০ মিটার দূরত্বে আরেকটি মসজিদ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত এই মসজিদকে কেন্দ্র করে এলাকায় সামাজিক বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরেই সম্প্রতি একটি দোকান ঘর ভাঙচুর করা হয়। ওই দোকানটি নির্মাণাধীন মসজিদের পাশে অবস্থিত হওয়ায় কিছু ব্যক্তি বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে সামাজিক মাধ্যমে ‘মসজিদ ভাঙা’র গুজব ছড়ান।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, মূলত মসজিদের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ভাঙা দোকান ঘরটির বাইরে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল, যা নিয়ে সম্প্রতি এলাকার নারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়।
পাঘাচংয়ে আহলে হাদিস মসজিদ ঘিরে বিভ্রান্তি: সিসি ক্যামেরা ও দোকান ঘর ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা
একাধিক স্থানীয় নারী অভিযোগ করেন, “আমরা এই পুকুরে গোসল করি। ওই ক্যামেরা আমাদের দিকে তাক করে রাখা ছিল। আমাদের আশঙ্কা, আমাদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত ভিডিও করে রাখা হচ্ছে।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সিসি ক্যামেরার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বিষয়ক ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এবং সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ জরুরি