গুলশান ক্লাবে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী, 'ঢাকা ফ্লো' ফুড এন্ড ওয়েলনেস প্রোগ্রাম, সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। আজ শেষ দিন।
এখানে প্রথমবারের মতো প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) একটি স্টলের আয়োজন করে, "লিভিং ওয়েল, ডায়িং ওয়েল" অর্থাৎ, "ভালোভাবে বাঁচা এবং ভালোভাবে মৃত্যু" এই স্লোগানকে সামনে রেখে। কারণ, এই সোসাইটি বলছে মৃত্যু প্রত্যেকের জীবনে অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু নিরাময় অযোগ্য, জীবনসীমিত রোগে আক্রান্ত মানুষগুলোকে যখন প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থা বলছে আর কিছু করার নেই, বাড়ি নিয়ে যান, তখন প্যালিয়েটিভ কেয়ার বলছে, এখনো এই মানুষটির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের সার্বিক যত্নের জন্য সমাজের অনেক কিছু করার আছে।এই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সাকি ফারনাজ বলেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে মাত্র ১৪% প্যালিয়েটিভ কেয়ার রোগী এই স্বাস্থ্য সেবা পান। কাজেই আমাদের মতন দেশগুলোতে এই সচেতনতা সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি সুশীল সমাজেরও। সেই কারণে প্যালিয়েটিভ কেয়ার একটি সামাজিক আন্দোলন।"
অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বিশ্বের নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোর প্যালিয়েটিভ মেডিসিনের প্রথম অধ্যাপক। তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এই বিভাগটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং
প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশের একজন একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি বলেন, "বর্তমান সমাজে মৃত্যুকে অস্বীকার করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে, সেই সাথে খোলা বাজার অর্থনীতির প্রভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যদি এখনই আমরা প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূলধারায় সম্পৃক্ত না করি তবে অতি শীঘ্রই আমাদের সমাজ পঙ্গু হয়ে যাবে শুধু বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই নয় বরং মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানেও ধস নামবে।"
সূএ: ইনকিলার
<p>সম্পাদক ও প্রকাশক: লিটন হোসাইন জিহাদ</p>
© PothikTV Media Center