বর্তমানে শিক্ষা মানেই পরীক্ষার ঘানি টানা : রাবেয়া জাহান তিন্নি

শিক্ষার উদ্দেশ্য –জ্ঞানঅর্জন নাকি চাকুরী পাওয়া? সবাই স্বপ্ন দেখে বড় হওয়ার।এই স্বপ্ন দেখা দূষের কিছূ নয়।তবে নিজের চিন্তা,চেতনা ও সৃজনশীলতাকে বিসর্জন দিয়ে শুধু একটা গন্তব্যে পৌছার চিন্তায় ব্রত থাকা মানুষ হিসেবে তা আমাদের মনুষ্যত্বের অবমুল্যায়ন। শিক্ষাএমনএক শক্তি যা শুধু মানুষের বাহ্যিক নয় অভ্যন্তরীণ চিন্তাচেতনাকে এমন দৃঢ়তার সাথে প্রতিষ্ঠিত করে যে ,পৃথিবীর যেকোনো প্রলোভনকে অতিক্রম করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার উদ্দেশ্য –জ্ঞানঅর্জন নাকি চাকুরী পাওয়া? সবাই স্বপ্ন দেখে বড় হওয়ার।এই স্বপ্ন দেখা দূষের কিছূ নয়।তবে নিজের চিন্তা,চেতনা ও সৃজনশীলতাকে বিসর্জন দিয়ে শুধু একটা গন্তব্যে পৌছার চিন্তায় ব্রত থাকা মানুষ হিসেবে তা আমাদের মনুষ্যত্বের অবমুল্যায়ন। শিক্ষাএমনএক শক্তি যা শুধু মানুষের বাহ্যিক নয় অভ্যন্তরীণ চিন্তাচেতনাকে এমন দৃঢ়তার সাথে প্রতিষ্ঠিত করে যে ,পৃথিবীর যেকোনো প্রলোভনকে অতিক্রম করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তবে বর্তমানে শিক্ষাকে শুধুমাত্র চাকুরী পাওয়ার হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। আরএই চিন্তাটি শিক্ষারথী থেকে শুরু করে অভিবাভকদের মধ্যেও এমনভাবে বদ্ধমূল যে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অন্য কিছু জানা বা পাঠ করাকে তারা সময়ের অপচয় হিসেবে মনে করছে।
আজ ,প্রতিযোগিতার মোহে সবাই এতটা আচ্ছন্ন যে এর বাইরে নিজেকে ভাবার ,নিজেকে আবিষ্কার করার মত সুযোগ আমাদের নেই। শিক্ষার উচ্চতর স্তর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও পরিণত হয়েছে যান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে যেখানে একজন শিক্ষার্থীর চিন্তাকে সম্পূর্ণভাবে কেরিয়ারভিওিক চিন্তায় পরিণত করা হচেছ।
আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতি্ একজন শিক্ষার্থীর উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে তুলেমূলে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য সফলভাবে কাজ করে যাচেছ। প্রকৃত শিক্ষা কখনো মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক হতে শেখায় না। তবে কেন আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা সর্ব্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করার পরে ও দেশ,জাতি আর মানবতার কথা ভাবছে না? তারা শুধু নিজেদের সুখের কখা ভাবছে। আর তাই দেশের বাইরে গিয়ে নিজের মেধা ও চিন্তাকে বিক্রি করছে।
বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একজন শিক্ষার্থীকে শুধু পার্থিব সফলতা অর্জনের ফর্মূ লা শেখাচেছ।। আর নিষ্পেষিত করে দিচ্ছে শিক্ষারথীদের মানবতা, মননশীলতা এবং চিন্তাশীল ক্ষমতাকে।
জীবনে চলার পথে কিছু প্রলোভন মানুষকে এমনভাবে আকড়ে ধরে যেখান থেকে ছুটার কোনো উপায় থাকেনা। আর সেই জাগতিক মোহ-মায়া বা ঐশ্বর্যের প্রলোভন যখন নিজ থেকে একজনের কাছে এসে ধরা দেয় তখন তাকে দূরে ঠেলে দেওয়ার মত সাধ্য খুব কম মানুষের থাকে। শুধুমাত্র প্রকৃত শিক্ষার মহিমায় অর্জিত সত্যের সন্ধান যে মানুষ পেয়েছে, সে মানুষই ঔ প্রলোভনের উর্ধ্বে উঠে নিজের চারিত্রিক দৃঢ়তাকে বজায় রাখতে পেরেছে।
শিক্ষা যে সত্যের সন্ধান দেয় সেই সত্য শুধু জানলেই হবেনা,সেই সত্যের গভীরে পৌছে নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। আমাদের শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে বেধে দিয়েছে। শুধুমাত্র তথ্য সরবরাহ করাই একজন শিক্ষকের দায়িত্ব নয়। একজন শিক্ষকের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা , একজন শিক্ষার্থীর সৃজনশীল প্রতিভাকে আবিষ্কার করা। আজ শিক্ষা মানেই পরীক্ষার ঘানি টানা। যেখানে জ্ঞান অর্জন মূল উদ্দেশ্য নয়; মূখ্য উদ্দেশ্য হচেছ পরীক্ষা পাশ করা আর চাকুরী পাওয়া। তবে চাকুরীর দাবিদার এবং চাকুরীর ক্ষেত্রের ব্যাবধান দিনদিন শুধু বেড়েই চলেছে ফলে সৃষ্টি হচেছ হতাশা বাড়ছেঅপরাধপ্রবণতা।