বাংলাদেশে এখনো বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা। রোগীর চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগের চেয়ে সচেতনতাও কিছুটা বেড়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, দেয়া হচ্ছে সচেতন করার নানা নির্দেশনা।
ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ কমছেই না। বৃষ্টি-গরমের এই সময়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তার সঙ্গে এডিস মশার বিস্তারে ডেঙ্গু রোগীও বাড়ছে। সব মিলিয়ে হাসপাতালে এখনো আছে রোগী ও স্বজদনের ভিড়।
https://www.youtube.com/watch?v=YjdM6j3Ilm8
প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। এতে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। সারাদেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে রোগীর মৃত্যু হলেও সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ‘শক সিনড্রোম’ জটিলতায়।
আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলছেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন রয়েছে। যারা আগে একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং দ্বিতীয়বার এই চারটি ধরনের যেকোনও একটি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি। তারাই মূলত শক সিন্ড্রোমে চলে যান বেশি। তবে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত না হয়েও শক সিনড্রোম হতে পারে।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলছেন, শক সিনড্রোমে নারীরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হন, কারণ তারা দেরিতে চিকিৎসা নিতে যান। এ ছাড়া বাংলাদেশের নারীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা পুষ্টিহীনতাও রয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই শক সিনড্রোমে মারা যাচ্ছেন। সঠিক সময়ে হাসপাতালে না যাওয়ার কারণেই শক সিনড্রোম হচ্ছে বলে মনে করছেন এ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ডেঙ্গু রোগীদের শরীরের যে কোনও জায়গা থেকে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ মানেই ডেঙ্গু হেমারেজিকে রূপ নিয়েছে। এর ফলে চোখে রক্ত জমে যেতে পারে, নাক, দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত ঝরতে পারে, মুখ, কান, মলদ্বার এরকম যেকোনো একটি বা একের অধিক অংশ দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। বমি ও কাশির সঙ্গে রক্ত বের হতে পারে।#
<p>সম্পাদক ও প্রকাশক: লিটন হোসাইন জিহাদ</p>
© PothikTV Media Center