লিটন হোসাইন জিহাদ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের দাসপাড়ার লক্ষণ চন্দ্র বর্মন (২৫) ওরফে লক্ষণ খুনের প্রায় ১ বছর অতিবাহিত হলেও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত নিহত লক্ষণের পরিবার।
জানা যায়,গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে নিহত লক্ষণের দাসপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার সাত দিন পর দুর্গন্ধ ছুটলে তার বসতঘরের পিছনে চতুর্দিকে প্রাচীর বেষ্টিত একটি জায়গা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় লক্ষণের মরদেহ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ১২ জুন ২০২৩ ইং তারিখে নিহত লক্ষণের মা ফুলমালা রানী বর্মন বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে,যার সি আর নং-১১১১/২৩ ইং। বর্তমানে মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পি বি আই) এর কাছে তদন্তাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পি বি আই অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি মামলার কপি অল্প কিছুদিন হাতে পেয়েছি, ইতিমধ্যে কিছু কললিস্ট উঠানো হয়েছে। আরো কিছু কললিস্ট উঠানো হবে, মামলাটি পরিপূর্ণভাবে তদন্তাধীন রয়েছে। ২৬ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে পি বি আইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ উপ-পরিদর্শক মজিদ আলী লক্ষণের মরদেহ পাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মজিদ আলী জানায়, মামলাটি সঠিক তদন্ত করে দ্রুত সময়ে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করা হবে। ভুক্তভোগীরা যেন ন্যায় বিচার পায়, সেভাবেই মামলার তদন্ত কাজ এগিয়ে নেয়া হবে।
লক্ষনের মা সাংবাদিকদের জানায়, গত ১৫ জুলাই ২০২২ ইং তারিখে মাত্র ১৫০ টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে একই এলাকার জাকির মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে লক্ষণের মাথায় আঘাত করে,এতে লক্ষণ গুরুতর আহত হয়। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিস কারকরা আহত লক্ষণকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে দেয়। নিহত লক্ষণের মা ফুলমালা রানী বর্মন জানায়, মাত্র ১৫০ টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে জাকির মিয়া আমার ছেলের মাথায় আঘাত করলে সালিশ কারকরা ৭০০০ টাকা জরিমানা আদায় করে দেয়। জরিমানার টাকাই আমার ছেলের জীবনে কাল হলো|
নিহত লক্ষণের পরিবারকে প্রতিনিয়ত দুর্বৃত্তরা বিভিন্নভাবে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এবং বর্তমানে নিহত লক্ষণের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
<p>সম্পাদক ও প্রকাশক: লিটন হোসাইন জিহাদ</p>
© PothikTV Media Center