ভূমিকম্প সতর্ক হওয়া এখনই প্রয়োজন

রাবেয়া জাহান তিন্নি:

ভূমিকম্প , এমন এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা প্রতিরোধ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে এর ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক এবং সিরিয়াতে যথাক্রমে ৭.৮ এবং ৭.৭ মাত্রার ব্যপক ভূমিকম্পে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয় এবং ৬ হাজার ৬শতোর মতো ভবন ধ্বংস হয়।


আর গত শুক্রবার ভূমিকম্প আঘাত এনেছে মরক্কোতে। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২৫০০, আর আহতের সংখ্যা ও আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে।

অনুসন্ধানকারী দল হন্য হয়ে খুঁজছে, কেউ চাপা পড়ে আছে কিনা? কেউ জীবিত আছে কিনা তা জানার জন্য। ভূমিকম্পের সবচেয়ে হৃদবিদারক বিষয় হচ্ছে, যারা বেঁচে থাকে তারা শোকে পাথর হয়েই বেচে থাকে। প্রিয়জনদের হারিয়ে সহায় সম্বল সবকিছু হারিয়ে মানুষ কি নিয়ে টিকে থাকবে?
ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত প্রতিটি এলাকা প্রিয়হারানোর শোকে স্তব্ধ।


ভূমিকম্পে যে বেচেঁ আছে তার প্রিয়জনের লাশ না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত তার জন্য কতোটা মর্মান্তিক তা নিজেকে দিয়ে চিন্তা করলে গা শিহরিয়ে উঠে।


বাংলাদেশ ও ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি এবং কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের ১৩ টি এলাকা ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। চট্রগ্রামের পাহাড়ি এলাকা এবং সিলেটের একটি উপজেলা ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে।


একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে ঢাকায় ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহর তছনছ হয়ে যাবে আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ। ঢাকা শহুরের বহুতল বিশিষ্ট অনেক ভবন ভূমিকম্প প্রতিরোধক নীতিমালা অনুসরণ করে নির্মান করা হয়নি।


মরক্কোর এই ভূমিকম্প বিপর্যয় আবারো ভূমিকম্পের ঝুকিতে রয়েছে এমন দেশগুলোর জন্য স্মরণিকা হয়ে থাকবে।


প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে বাংলাদেশকে আরো অনেক বেশি সচেতন এবং জাগ্রত হতে হবে। ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষতি কমাতে, উদ্ধার কাজ দ্রুত সম্পূন্ন করতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কার্যকরী পদক্ষেপের ব্যবস্থা রাখতে হবে বলে বিশ্লেষকগণ মনে করেন।

এম.চৌ:/পথিক নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *