মাধবপুর ( হবিগন্জ) : হবিগন্জের মাধবপুরে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে রেল বিভাগের জায়গায় বসবাস করা ৫০ টি পরিবারের ঘর ভেঙ্গে ফেলায় খোলা আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটাচ্ছে পরিবারের সদস্যরা।
গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি বিদ্যালয়। হঠাত করে বিদ্যালয় টি গুড়িয়ে দেওয়াতে বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষথী ও শিক্ষকরা।
মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের শাহজীবাজার মাজার এলাকায় আশেপাশে রেলওয়ের জায়গায় ও ডিসি খতিয়ানের জায়গায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছে প্রায় ৫০ টি পরিবার। দীর্ঘদিন যাবত এই পরিবার গুলো এই জায়গায় বসবাস করে আসলেও হঠাত করে বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘর গুলো উচ্ছেদ করা হয়, এবং ২ টি ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সময় একটি কিন্ডার গার্ড়েন স্কুল ও গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায় পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়ে প্রচন্ড রোদে এপাশ ওপাশ ঘুরাফেরা করছে। অনেক পরিবার না খেয়ে রয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো জানান, তারা রেলওয়ের পাশে প্রায় ৩০/৪০ বছর যাবত বসবাস করছেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ সহ বেশ কয়েকজন লোক এসে তাদের ঘর গুলো গুড়িয়ে দেয়। আসাদ নামে এক ব্যাক্তি নাকি এই জায়গার মালিক, তিনি নাকি মামলা করে এই জায়গা পেয়েছেন। কিন্ত তাদের কে এখান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি।
এডভোকেট নজরুল ইসলাম জানান, এই জায়গা নিয়ে দীর্য়দিন যাবত মামলা চলছে। রেলওয়ে কতৃপক্ষও মামলা করেছিল। কিন্ত তৎকালিন সময়ে রেলওয়ে কতৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের পক্ষে জোড়ালো কোন ডকুমেন্ট আদালত কে দেওয়া হয়নি। কোন সরকারি জায়গা ও ডিসি অফিসের জায়গা কোন ব্যাক্তির হতে পাড়ে না। মামলার নথি পাওয়া যাচ্ছে না। মামলার ফাইল গুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে।
মাধবপুরে রেলওয়ে ও ডিসি অফিসের জায়গা বেসরকারি মালিকানায়, আশ্রয়হীন ৫০ পরিবার ও স্কুল ভাঙচুর
আলাউদ্দিন মিয়া জানান, আমরা জানি এটি রেলওয়ে ও ডিসি অফিসের জায়গা, এই জায়গা কি ভাবে ব্যাক্তির হয় তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । শহিদ মিয়া, মুসলিম মিয়া, রফিক মিয়া জানান, সরকারের নিকট তাদের দাবি তাদের যেন এই জায়গায় থাকার জায়গা দেওয়া হয়। না হলে তারা খোলা আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিসি অফিসের নাজির ফাহিমা খানম ও মাধবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
এই বিষয়ে মাধবপুর উপজেলার কালিকাপুর ভুৃমি অফিসের তহশীলদার লোকমান মিয়া জানান, এই বিষয়ে রিভাইজ মামলা করা হবে। রেলওয়ের পাশে যে ঘর গুলো ছিল এই গুলের মধ্যে অনেক গুলো ডিসি অফিসের জায়গা ও রেলের জায়গায় ছিল।
রেলওয়ে সাভেয়ার ফুরকান আলী জানান, তিনি এখানে নতুন জয়েন করেছেন। রেল লাইনের পাশের ৩০/৪০ ফুট জায়গা রেলওয়ে বিভাগের থাকে। মাধবপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মুজিবুল ইসলাম জানান, তিনি শুধু আদালতের নির্দেশে সেখানে গিয়েছেন।