মায়ের অনৈতিক সম্পর্কের কারনে পরিকল্পিতভাবে শিশু সামিউলকে হত্যা


"পরকীয়া প্রেমের ঘটনা থেকে এই মামলার উৎপত্তি।"
রাজধানীর আদাবরে চাঞ্চল্যকর শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলায় পরকীয়া প্রেমিকসহ মা আয়েশা হুমায়রা এশার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি এশার কথিত প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু। সাথে তাদের প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৪–এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এই রায় ঘোষণা করে। একথা নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক উজ্জামান ভূঁইয়া টিপু।
তিনি জানান, আদালত রায়ে বলেছেন, মায়ের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলে এবং বাবাকে বলে দেবে, এই আশঙ্কা থেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে শিশু সামিউলকে।
“পরকীয়া প্রেমের ঘটনা থেকে এই মামলার উৎপত্তি।”
তিনি বলেন, “আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ এটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এ ঘটনার পর মামলা দায়ের করেছিলেন সামিউলের বাবা কে আর আজম। যিনি মামলা চলার কিছুদিন পর মারা যান।
মি. ভূঁইয়া জানিয়েছেন, এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নিহত সামিউলের পরিবার।
এর আগে গত আটই ডিসেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে আজ ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা হয়।
মি. ভূঁইয়া বলেন, ২২ জন আসামীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় দিয়েছে আদালত।
আসামী সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার কথিত প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু- দুজনই জামিন পাওয়ার পর পলাতক রয়েছেন। আজ তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়। এদিন আসামী পক্ষের কোন আইনজীবীও উপস্থিতি ছিলেন না।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করারও আদেশ দিয়েছে আদালত।
২০১০ সালে ২৩ জুন শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল পাঁচ বছর বয়সী খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে। পরের দিন নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
গাজী আরমান ,পথিক নিউজ।