যুদ্ধের চালচিত্র বদলে দিচ্ছে তুর্কি স্মার্ট অস্ত্র MAM-C

লেখক:
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে
ড্রোন এবং হালকা যুদ্ধবিমানে ব্যবহারের জন্য তৈরি এই ক্ষুদ্র কিন্তু শক্তিশালী অস্ত্রটি যুদ্ধক্ষেত্রে নিখুঁত আঘাতের প্রতীক হয়ে উঠেছে

এই অস্ত্রটির মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – নির্ভুলভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা। আধুনিক লেজার ও GPS নির্দেশনা প্রযুক্তির সাহায্যে MAM-C চলমান কিংবা স্থির উভয় ধরনের লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারে যুদ্ধক্ষেত্রে ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’ বা অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমে আসে।

প্রায় . কেজি ওজনের এই ক্ষুদ্র বোমাটি প্রায় মিটার দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। এর ব্যাস ৭০ মিমি, যা UAV বা হালকা বিমান থেকে বহন করা সহজ করে তোলে। সাধারণত এটি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

MAM-C-তে ব্যবহৃত গাইডেন্স সিস্টেম হলো: সেমিঅ্যাকটিভ লেজার গাইডেন্স, এবং GPS/INS ভিত্তিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম।

1624277435 mam c1

এই স্মার্ট অস্ত্রটি ইতোমধ্যেই Bayraktar TB2, ANKA, এবং Aksungur সহ বিভিন্ন তুর্কি ড্রোনে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনী রাডার সিস্টেম, সাঁজোয়া যান, শত্রুর অস্ত্রাগার ও মজুদঘরকে লক্ষ্য করে অত্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানতে পারছে।

Roketsan সূত্রে জানা গেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এটি সাশ্রয়ী কার্যকর সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, MAM-C স্মার্ট মিউনিশনের মাধ্যমে যুদ্ধের কৌশলগত দিক এক নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে। এটি শুধু ক্ষয়ক্ষতি কমায় না, বরং অপারেশন সফলতার হারও অনেক বাড়িয়ে দেয়। UAV-ভিত্তিক আক্রমণে এর বহুমুখী ব্যবহার ভবিষ্যতের যুদ্ধপ্রবণতার একটি পূর্বাভাস।

আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, স্মার্ট অস্ত্রের বাজারে তুরস্ক যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তার একটি বড় উদাহরণ হলো MAM-C। এটি বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীর নজর কেড়েছে এবং ইতোমধ্যে রপ্তানির দিকেও অগ্রসর হয়েছে।

MAM-C স্মার্ট মাইক্রো মিউনিশন আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর, কম খরচে অধিক ফলদায়ী অস্ত্র হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। UAV ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও মরণঘাতী করে তুলতে এ ধরনের অস্ত্রের গুরুত্ব ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, এমনটাই মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।