বিনোদন প্রতিবেদক: জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত ব্যক্তি হিরো আলম আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) গভীর রাতে বগুড়ার ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর তীরে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে তিনি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাহিদের বাড়িতে যান। রাতভর রিয়ামনিকে ঘিরে ব্যক্তিগত বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় দুই বন্ধুর মধ্যে। এরপর তারা আলাদা বিছানায় ঘুমাতে যান।
পরদিন সকালে (২৮ জুন) বন্ধু জাহিদ ঘুম থেকে উঠে হিরো আলমকে ডাকার চেষ্টা করেও সাড়া পাননি। উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে তার বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই দ্রুত তাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান তার স্ত্রী রিয়ামনি। বগুড়া থেকেই তিনি জানান, “আমি এখানে এসে ওর (হিরো আলমের) অবস্থা জেনেছি। এখন তাকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। ভালো কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হবে।”
এরপর শুক্রবার সকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি পোস্ট করে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন রিয়ামনি। তিনি লেখেন—
“সম্পর্ক গড়ে তুলতে যেমন সময় লাগে, সম্পর্ক ভেঙে দিতেও তেমন সময় লাগে। সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মতে, আর ভেঙে যায় তৃতীয় পক্ষের কারণে।”
আজ (২৮ জুন) আরও একটি পোস্টে তিনি হিরো আলমের শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়ে লিখেন—
“আলহামদুলিল্লাহ, আগের থেকে সুস্থ রয়েছেন হিরো আলম। জীবন যুদ্ধে যারা জয়ী হয়, তারাই হচ্ছে আসল যোদ্ধা। জীবনে চলার পথে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়। অনেক কিছুর শিকার হতে হয়। বলার অনেক কিছু থাকে, কিন্তু বলা যায় না।”
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই হিরো আলম ও রিয়ামনির দাম্পত্য সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল। হতাশাগ্রস্ত হয়েই তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও তার চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মহলে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। হিরো আলম এখন চিকিৎসাধীন, তবে পরিবার জানিয়েছে, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।