অনলাইন ডেক্স
নিজ সন্তানকে বালিশ চাপায় হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে। পারিবারিক কলহের কারণে মা রূপা বেগম তার নানির বাড়িতে তিন সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন।
শনিবার (২৬ আগস্ট) রাত ১২ টার দিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও গ্রামে তার নানি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরেদহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত শিশুটির নাম রাত্রী। তার বয়স তিন মাস। আদিত্য ও রাত্রী জমজ ভাই-বোন ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের কয়েক মাস পরেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে রূপা বেগম। পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী চান মিয়া সরদারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির পাশেই রূপা তার নানি বাড়িতে থাকতেন। গতকাল রাতে জমজ ভাই-বোনের মধ্যে রাত্রী মারা যায়। এরপর রাত্রীর বাবা অভিযোগ তোলেন তার মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় মিজানুর রহমান বলেন, বিয়ের পর প্রথম দিকে পারিবারিক কলহ থাকলে বিগত কয়েক বছর ধরে কোনো সমস্যা না থাকলেও রূপা তার বাচ্চাদের নিয়ে নানি বাড়িতে থাকত। রূপা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।
নিহতের ফুফু তাহমিনা বেগম বলেন, আমার ভাবি বাচ্চাদের রেখে বাজারে বাজারে ঘুরে বেড়াতো। উনি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় আমরা ধারণা করছি সেই শিশুটিকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে।
ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তবে সুরতাহালে শিশুটির শরীরে কোনো রকম চিহ্ন পাইনি। বাকিটা ময়নাতদন্তের ফলাফল আসলে বলা যাবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট
পথিক নিউজ/ মো:ইমন
<p>সম্পাদক ও প্রকাশক: লিটন হোসাইন জিহাদ</p>
© PothikTV Media Center