৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
ব্রাক্ষণবাড়িয়া প্রতিনিধি : রক্তদানের প্রয়োজনীয়তায় আমরা সাধারণত চারটি মূল রক্তের গ্রুপ—A, B, AB ও O—এবং Rh ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে পজিটিভ ও নেগেটিভ চিনি। তবে সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলো আমাদের জানাচ্ছে আরও জটিল ও বিরল রক্তের ধরন সম্পর্কে। এরমধ্যে অন্যতম একটি হলো “G নেগেটিভ”, যা সাধারণ রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে না।
G নেগেটিভ আসলে কী?
“G নেগেটিভ” বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝায়, যার রক্তে G এন্টিজেন অনুপস্থিত। এটি সরাসরি মূল রক্তের গ্রুপ নয়, বরং সাব-টাইপিং নামক বিশেষায়িত পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। এই এন্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি সাধারণত গুরুত্ব পায় গর্ভাবস্থা বা রক্ত সঞ্চালনের (transfusion) সময়।
Rh-null ও G নেগেটিভের পার্থক্য
বিশ্বে সবচেয়ে বিরল রক্ত হিসেবে পরিচিত Rh-null বা Golden Blood, যেখানে Rh সিস্টেমের সব ধরনের এন্টিজেনই অনুপস্থিত। এখন পর্যন্ত মাত্র ৫০ জনের মতো মানুষকে এই রক্তের বাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
তবে G নেগেটিভ ততটা বিরল না হলেও, এটি অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা ও সঠিক রক্ত মেলানোর প্রয়োজন তৈরি করে।
রহস্যময় “G নেগেটিভ” রক্তের সন্ধান: নতুন রক্তের গ্রুপ নিয়ে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান
সাধারণ মানুষের জন্য বার্তা
. G নেগেটিভ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।
. এটি মূলত গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য, যাদের বারবার রক্তদান বা রক্ত গ্রহণ করতে হয়।
. বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত G নেগেটিভ রক্ত নিয়ে বড় কোনো জাতীয় সতর্কতা বা আলোড়ন সৃষ্টি হয়নি।
উপসংহার
রক্তদানের জগতে G নেগেটিভ একটি নতুন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে। এই বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়লে, জটিলতা মোকাবেলায় সহায়তা পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে গর্ভবতী মা, জটিল রোগী ও বারবার রক্তগ্রহীতাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আরও বেশি সচেতনতা অবলম্বন প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক হেমাটোলজি গবেষণা, রেড ক্রস ব্লাড ব্যাংক রিপোর্ট, হেলথলাইন মেডিকেল জার্নাল।
