স্ত্রীর করা মামলায় জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল আমিন

বিশেষ প্রতিনিধি:  স্ত্রী ইসরাত জাহানের মামলায় জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন। একসঙ্গে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবিতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন আল-আমিন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করেন আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

এর আগে ১ সেপ্টেম্বর আল-আমিনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভিন্ন দুটি ধারায় মামলা করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। মামলার পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর আসামিকে হাজির হতে নোটিশ জারি করেন।

স্ত্রীর অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন আল-আমিন। সবশেষ গত ৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন তিনি। দাবি করেন পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে ক্যারিয়ার ধ্বংস করাই ছিল তার স্ত্রীর উদ্দেশ্য।

এ সময় স্ত্রীর পরকীয়ার কয়েকটি নমুনা যেমন-মোবাইলে কথা বলার বিভিন্ন ফুটেজ ও স্ক্রিনশটও তুলে ধরেছিলেন আল-আমিন। তিনি বলেছেন, ‘আমি ঘরোয়া ও জাতীয় ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকি। বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। আর আমার স্ত্রী মা-বাবার সঙ্গে থাকে। সে মাঝরাতে দরজা বন্ধ করে পরপুরুষের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে। এ নিয়ে অনেকবার ঝগড়া হওয়ায় বেশ কয়েকটি ফোনও ভেঙে ফেলা হয়েছে।’

এ সময় যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের বিষয়টিও অস্বীকার করেন টাইগার এ পেসার।

আল-আমিনের সংবাদ সম্মেলনের পর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরকীয়ার অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘ওটা (আল-আমিনের দেখানো স্ক্রিনশট) আমার কাজিন ছিল। আমার বিরুদ্ধে এখন সে (আল-আমিন) পরকীয়ার অভিযোগ বলে বেড়ায়। তাহলে এত বছর সে আমাকে রেখেছে কেন? কেন সে প্রতিবাদ করেনি। আমি এটা নিয়েও মামলা করব।’

 

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছেও তার (আল-আমিন) পরকীয়ার বহু প্রমাণ আছে।’ এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কয়েকটি ছবি এবং অডিও কল নমুনা হিসেবে দেখান।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *