সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যকার লড়াই আরও তীব্রতর হয়েছে। দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরোধী পক্ষ আরএসএফ অস্ত্রবিরতি প্রত্যাখ্যান করায় সুদানের সেনাবাহিনী আক্রমণ আরও তীব্র করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দ্বন্দ্বের শুরু মূলত সুদানের সশস্ত্র বাহিনীতে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফের প্রস্তাবিত একত্রীকরণের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এর পর থেকেই দুপক্ষের মধ্যে মূলত টানাপোড়েন শুরু। উভয় পক্ষই নিজেদের ক্ষমতার বৈধ হকদার বলে দাবি করতে থাকে এবং দেশ পরিচালনায় নিজেদের অংশগ্রহণ দাবি করতে থাকে আরএসএফ।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় এ সংকট আরও গভীর হয়। যা শেষ পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) শুরু হওয়া লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলেছেন সুদানে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ভলকার পার্থেস।
এদিকে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে ‘বিদ্রোহী গোষ্ঠী’ অভিহিত করে একে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। জবাবে জেনারেল দাগালো জেনারেল বুরহানকে কট্টর ইসলামপন্থী বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং অভিযোগ করেছেন জেনারেল বুরহান বেসামরিক নাগরিকের ওপর আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ করছেন।
তবে জেনারেল বুরহানের ঘোষণার পরপরই লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। আশপাশের শহরগুলো থেকে আরএসএফের সদস্যরা যোগ দিচ্ছেন রাজধানী খার্তুমে। রাজধানীর বিমানবন্দর, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং কেন্দ্রীয় সেনানিবাসকে কেন্দ্র করে লড়াই তীব্র হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে জেনারেল বুরহান এখনো সেনানিবাসেই রয়েছেন।
অপরদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল জানিয়েছেন, খার্তুমে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতের বাসভবনে হামলা করা হয়েছে। তবে দূত আদিয়ান ও’হারা এই হামলায় আহত হয়েছেন কিনা তা জানাননি বোরেল। তিনি এই হামলাকে ভিয়েনা কনভেনশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।