বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দীর্ঘ ছয় দশক অত্যন্ত সাবলীল ধারায় লেখালেখি করে বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রেখেছেন শামসুর রাহমান।
আজ আধুনিক বাংলা কবিতার এ বরপুত্রের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ৭৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
কবি শামসুর রাহমানের মায়ের নাম আমেনা খাতুন, বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী। পৈতৃক বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। ১৯৫৭ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজে সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৭-১৯৫৯ রেডিও পাকিস্তানের প্রোগ্রাম প্রডিউসার ছিলেন। ১৯৬০-১৯৬৪ দৈনিক মর্নিং নিউজে সিনিয়র সাব-এডিটর, ১৯৬৪-১৯৭৭ দৈনিক পাকিস্তান ও দৈনিক বাংলায় সহকারী সম্পাদক এবং ১৯৭৭-১৯৮৭ দৈনিক বাংলার ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে শামসুর রাহমান সপরিবারে তাদের পৈতৃক বাড়ি নরসিংদীর পাড়াতলী গ্রামে চলে যান। এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বেদনামথিত হয়ে লেখেন ‘স্বাধীনতা তুমি’ ও ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’সহ বেশ কিছু কবিতা। স্বাধীনতার পর পঁচাত্তরপরবর্তী পট পরিবর্তনে আশাহত কবি সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে কলম চালিয়েছেন নিরন্তর।
শামসুর রাহমানের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ৬৬টি। উপন্যাস চারটি, প্রবন্ধহ্রন্থ একটি, ছড়ার বই আটটি ও অনুবাদ ছয়টি।