করোনাভাইরাস মহামারি এবং এ সম্পর্কিত লকডাউন বদলে দিয়েছে অনেকে কিছু। বদলে গেছে অর্থনীতির গতিবিধি, বদলেছে মানুষের সম্পর্ক। এমনকি, সঙ্গী বাছাইয়ের মানসিকতায়ও পরিবর্তন এনে দিয়েছে করোনাকালীন এই লকডাউন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিস্টিকসের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, দেশটিতে করোনার পর বিয়ের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি কমেছে বিচ্ছেদের হারও।
লকডাউনের পর মানুষের মধ্যে আরেকটি বড় যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে, তা হলো- তারা কী ধরনের মানুষকে বিয়ে করতে চায়।
নিবন্ধিত ম্যারেজ থেরাপিস্ট ইয়ান কার্নার সিএনএন’কে বলেন, গত এক দশকের কর্মজীবনে আমি ‘রোমান্টিক বিয়ে’ থেকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ বিয়ে’র দিকে একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। এর অর্থ হলো- মানুষজন ক্রমেই এমন জীবনসঙ্গী বেছে নিচ্ছে, যারা আবেগী সঙ্গীর পরিবর্তে অনেকটা সেরা বন্ধুর (বেস্ট ফ্রেন্ড) মতো।
তিনি বলেন, এমনটি করার ফলে আকর্ষণের সমস্যা হতে পারে। তবে এর অর্থ হলো- ওইসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা ও সন্তুষ্টির সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করে অংশীদার নির্বাচন করছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ের হার ছিল প্রতি এক হাজার জনে সাত থেকে আটটি। মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে তা মাত্র ৫ দশমিক ১-এ নেমে আসে। কিন্তু পরের বছরই সেই সংখ্যা বাড়তে শুরু করে এবং ২০২২ সাল নাগাদ বিয়ের হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ২। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ে হয়েছিল ২০ লাখেরও বেশি।
আবার, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিয়েবিচ্ছেদের হার ছিল প্রতি এক হাজার জনে ২ দশমিক ৪। ২০২১ সালে এর হার ছিল আরও কম- ২ দশমিক ৩ মাত্র। কম বিচ্ছেদের সেই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
সেই তুলনায়, ২০০০ সালে দেশটিতে বিয়েবিচ্ছেদের হার ছিল প্রতি এক হাজার জনে চারটি। অর্থাৎ, আগের দুই দশকের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে বিয়েবিচ্ছেদের হার এখন অনেক কম।
সূএ:জাগোনিউজ
ইমি/পথিক নিউজ