অনলাইন ডেক্স
পাকিস্তানের একটি আদালত সোমবার (২৮ আগস্ট) দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা খুনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। ইমরান খানের আইনজীবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইমরান খানের আইনজীবী নাইম পাঞ্জুথা বলেন, আল্লাহকে ধন্যবাদ। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায় এক আইনজীবীকে হত্যার অভিযোগ আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
গত জুনে ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে শতাধিক মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তিনি দেশের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সাথে বাদ পড়ার পরে।
তোশাখানা মামলায় বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। এর আগে কারাগারের মধ্যেই সাইফার মামলায় ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দেশটির শীর্ষ গোয়েন্দারা। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা।
ইমরান শান্তভাবে গোয়েন্দাদের সব প্রশ্নের জবাব দেন বলে জানা গেছে। গত বছর তিনি জনসমাবেশে গোপনীয় ডকুমেন্ট (সাইফার) প্রদর্শন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়ে ইমরান খান বলেছেন, কোনো সাইফার (গোপন বার্তার সাংকেতিক রূপ) তিনি প্রদর্শন করেননি তিনি।
পাক গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির ৬ সদস্যের একটি দল অ্যাটক কারাগারে গিয়েই সাইফার মামলায় ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। তাদের প্রতিটি প্রশ্নের জবাব শান্তভাবেই দেন ইমরান খান।
তিনি এ বিষয়ে তদন্তে বেশ সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু যে গোপন ডকুমেন্টটি প্রকাশ্য জনসভায় প্রদর্শন করা নিয়ে বিতর্ক, সে বিষয়ে তার দাবি এটি সাইফার ছিল না। ওই জনসমাবেশে তিনি যে কাগজ প্রদর্শন করেছিলেন তা ছিল মন্ত্রিপরিষদের কাগজ।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে কোনো ডকুমেন্ট তার নিজের কাছে রাখার অধিকার ছিল। কিন্তু কেন তিনি সেটা প্রকাশ্য জনসভায় প্রদর্শন করলেন, তার কোনো জবাব দিতে পারেননি ইমরান। গোয়েন্দারা ওই ডকুমেন্টটি চাইলে ইমরানের শান্ত জবাব ছিল, সেটি তিনি কোথায় রেখেছেন মনে নেই।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট
পথিক নিউজ/ মো:ইমন