খানসামায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রসুনের আবাদ

লেখক:
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ৫ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২০ হেক্টর বেশি। এবার ভালো ফলন ও দামের আশা করছেন কৃষকরা।

 

জেলার খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি, হাসিমপুর, কাচিনীয়া, গুলিয়ারা ও বালাপাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রসুনের চাষাবাদ হয়েছে।

 

কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া ভালো হওয়ায় সাদা সোনা খ্যাত রসুনে আশার আলো দেখছেন। গত বছরের থেকে এবার রসুনে ব্যাপক সাফল্যের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

 

খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার জানান, চলতি বছর রবি মৌসুমে এই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে রসুন চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরে রসুনের চাষ হয়েছিল ১ হাজার ৫০০ হেক্টর। চলতি বছর ২২০ সেক্টর জমিতে অতিরিক্ত রসুন চাষ অর্জিত হয়েছে।

 

 

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে বীজ, সার, সেচ, হাল ও পরিচর্যা বাবদ এ বছর খরচ হয়েছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এবার বীজের দাম বেশি হওয়ায় খরচটা বেড়ে গেছে। প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৫৫ থেকে ৬০ মণ। প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। খরচ বেশি হওয়ার পরও ভালো লাভের আশা করছেন কৃষকেরা। তবে গত কয়েক সপ্তাহ আগে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে পাতা হলুদ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিল তারা। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগের সুপরামর্শে ও আবহাওয়া ভালো হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা থেকে কাটিয়ে উঠছেন রসুনচাষিরা।

 

উপজেলার গোয়ালডিহি জমির শাহপাড়া রসুনচাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বছর এক বিঘা জমিতে রসুন চাষ করছি। বেশ ভালো ফলনের আশা করছি। এবার, রসুনের দাম গত বছরের থেকে অনেক বেশি।

 

খামারপাড়া ইউনিয়নের কৃষক মাহফুজ আলম বলেন, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছি। আশা করি ভালো ফলন ও দাম  ভালো পাব।

 

ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের কৃষক করুনা কান্ত সেন বলেন, প্রতি বছরই আমি রসুন আবাদ করি। এবারও দুই বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছি। এ বছর  দাম ভালো থাকায় ভালো কিছুর আশা করছি।

 

খামারপাড়া ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ ম জাহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সঠিক পরামর্শ দিকনির্দেশনা দেই। সব সময় রসুনসহ বিভিন্ন ক্ষেত পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করি এ বছর রসুনে ব্যাপক সফলতা পাবেন কৃষকেরা।

 

খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হাবিবা আক্তার বলেন, কিছুদিন আগে শৈত্যপ্রবাহের কারণে রসুন ক্ষেত হলুদ বর্ণ ধারণ করেছিল। কিন্তু এখন আবহাওয়া ভালো হয়ে যাওয়ায় ফলনও ভালো হবে আশা করছি। আমরা কৃষিবিভাগ কৃষকদের সচেতনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কৃষকদের যেকোনো প্রয়োজনে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

ইমি / পথিক নিউজ