ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

লেখক:
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার উপ-নির্বাচন নিয়ে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এমপির সমর্থকরা। এই ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় এমপির সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

ফয়সাল নজরুল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ওই কলেজ ছাত্রলীগের মানবিক শাখা ছাত্রলীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া ত্রিশাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু ওই ইউনিয়নের কমিটি এখনো করা হয়নি।

 

বিজ্ঞাপন

 

রোববার (১০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘণ্টাখানেক সড়ক অবরোধের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

সূত্র জানায়, গত ৯ মার্চ ত্রিশাল পৌরসভার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ত্রিশালের এমপি এবিএম আনিসুজ্জামানের স্ত্রী শামীমা আক্তার। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতা আমিন সরকার বিজয়ী হন। এই ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল এমপির স্ত্রী শামীমা আক্তারকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। ওই পোস্ট এমপির সমর্থকরা দেখে তাকে ধরে নিয়ে মারধর করে থানায় সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ ফয়সালকে তাদের হেফাজতে নেয়।

 

বিজ্ঞাপন

 

এই ঘটনার জেরে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাত ৯টার দিকে ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবরোধ তুলে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে থানার গেটের সামনে গেলে এমপির লোকজন লাঠি নিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

এ বিষয়ে ভিক্টিম ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল বলেন, আমি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলাম। এ সময় আমাকে এমপির তিনজন লোক বাসায় নিয়ে হকিস্টিক দিয়ে পেটায়। পরে তারা স্কচটেপ মোড়ানো বলের মতো ককটেল আমার হাতে তুলে দিয়ে স্বীকার করতে বলে, সাবেক এমপির ছেলে হাসান তোরে দিয়ে পাঠিয়েছে বর্তমান এমপির বাসায় ফুটানোর জন্য। একথা না বললে আমাকে মেরে ফেলবে, তাই আমি ভয়ে স্বীকার করি। পরে আমাকে থানায় দেয়। আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম, পরে পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছি। তাদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি। তারপরও আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।

 

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহান বলেন, বিকেলে ছাত্রলীগ সদস্য ফয়সাল মহিলা কলেজের সামনে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। সেখান থেকে বর্তমান এমপির লোকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। এমপির বাসায় নিয়ে ফয়সালের ওপর অমানবিক নির্যাতন করে থানায় সোপর্দ করে।

 

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ বলেন, ফয়সালকে আটকের কথা শুনে থানায় যাই, ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়। তবে ফয়সালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ফয়সালকে নিয়ে এসেছি।

 

বিজ্ঞাপন

 

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ফয়সালকে এমপির লোকজন থানায় দিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সংসদ সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান বলেন, ওই ছেলে ছাত্রলীগের কেউ না। রাস্তা অবরোধ সাবেক এমপি মাদানীর ছেলে হাসান করিয়েছে বলে লাইন কেটে দেন তিনি। পরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সূএ:জাগোনিউজ

ইমি/পথিক নিউজ