পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারি। তার স্ত্রী দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো প্রয়াত হয়েছেন প্রায় দেড় যুগ আগে। এরপর আর বিয়ে করেননি জারদারি। তাই সবার মনেই প্রশ্ন, কে হচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী ফার্স্ট লেডি?
এক্ষেত্রে জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে জারদারির ছোট মেয়ে আসিফা ভুট্টো জারদারির নাম। গত রোববার (১০ মার্চ) ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট হাউসে আসিফ আলি জারদারি যখন দ্বিতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আসিফাও।
বিজ্ঞাপন
এটি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে, যখন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টের বড় মেয়ে বখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি এক টুইটে আসিফাকে ট্যাগ করেন, যেখানে তাকে তার বাবার সঙ্গে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতে দেখা যায়।
ওই টুইটে লেখা ছিল, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গ দেওয়া, আদালতে তার সব শুনানি থেকে শুরু করে জেলমুক্তির লড়াই পর্যন্ত- এখন পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডি হিসেবে তার পাশে, আসিফা।
বিজ্ঞাপন
সাধারণত, কোনো দেশে প্রেসিডেন্টের স্ত্রীই ফার্স্ট লেডি হয়ে থাকেন। তবে ২০০৭ সালে গুলি ও বোমার আঘাতে নিহত হন আসিফ আলি জারদারির স্ত্রী বেনজির ভুট্টো। এরপর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেননি জারদারি। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ফার্স্ট লেডির চেয়ারটি খালিই ছিল।
ওই সময় আসিফার বয়স কম থাকায় তাকে নিয়ে আলোচনা হয়নি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। আজ ৩১ বছরের প্রাপ্তবয়স্ক নারী আসিফা ভুট্টো জারদারি। রাজনীতিতেও সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে তার।
গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে মাঠপর্যায়ে পিপিপির প্রচাণায় শামিল হয়েছিলেন আসিফা। ভাই বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির সমর্থনে বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও দেখা গেছে তাকে।
বিজ্ঞাপন
অবশ্য, স্ত্রী না থাকায় মেয়েকে ফার্স্ট লেডি করার ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথমবার হবে না। বিপত্নীক প্রেসিডেন্টের কন্যা, বোন, এমনকি ভাগ্নিকেও ফার্স্ট লেডি করার ইতিহাস রয়েছে বিভিন্ন দেশে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন তার ভাগ্নি এমিলি ডনেলসনকে দেশটির ফার্স্ট লেডি হিসেবে কাজ করতে বলেছিলেন। আরও দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট চেস্টার আর্থার এবং গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের সময় ফার্স্ট লেডি হয়েছিলেন তাদের বোনেরা।
সূত্র: জিও নিউজ
ইমি/পথিক নিউজ