ব্রাজিলের শিল্প খাতে চক্রাকার অর্থনীতি ও টেকসই উৎপাদন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়ে প্লাস্টিকসহ কৃত্রিম মোড়কের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। খবর: ডয়চে ভেলে।
প্রতি বছর ব্রাজিলে প্রায় আট কোটি ২০ লাখ টন আবর্জনা সৃষ্টি হয়। এসব আবর্জনা বিশাল স্তূপে জমা হয়। এর মাত্র দুই শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়।
ব্রাজিলের কিছু সংস্থা এখনই এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে। সংস্থাগুলো পণ্যের সার্কুলার বা চক্রাকার ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছে। অর্থাৎ বর্জ্য হিসেবে ফেলে না দিয়ে পণ্যগুলো বারবার ব্যবহার করা যাচ্ছে বা নতুন কিছুতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।
ওয়াইভিওয়াই কোম্পানির মার্সেলো এবার্ট বলেন, শুধু ব্রাজিলে তৈরি সব ক্লিনিং লিকুইড ভরতে হলে প্রায় ৬০০ কোটি বোতল প্রয়োজন। সেই সব প্লাস্টিকের বোতল পাশাপাশি রাখলে তার দৈর্ঘ্য তিনবার চাঁদে যাতায়াতের দূরত্বের সমান হবে। এমন শিল্প খাত চালাতে কত প্লাস্টিকের প্রয়োজন হয়, এই হিসাব থেকে সে বিষয়ে একটা ধারণা পেতে পারেন।
ওয়াইভিওয়াই এমন বোতল বিক্রি করে, যার মধ্যে বারবার প্রকৃতিভিত্তিক পণ্য ভরা যায়। পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিলেই সেটি ব্যবহার করা যায়। ব্রাজিলে এই কোম্পানির প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এবার্টের মতে, ভবিষ্যতের স্বার্থে প্যাকেজিংয়ের ব্যবহার নিয়ে যতটা সম্ভব প্রশ্ন তুলতে হবে। যেসব প্যাকেজিং ও উপকরণ মাত্র একবার ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে।
সার্কুলার প্রোডাক্ট মুভমেন্ট ব্রাজিলে এখনও নতুন ধারণা। তবে অনেকে সেই বাজারে প্রবেশ করতে চাইছে। টেকসই উপকরণ বিশেষজ্ঞ কারোল পিচিন কারোল বলেন, ব্রাজিলে এরই মধ্যে ছয়শর বেশি উপাদান চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য ও অরগানিক পদার্থ থেকে তৈরি করা যায়। কারোল পিচিন বলেন, আমরা আজ পর্যন্ত যত টুল ব্যবহার করে এসেছি, সেসব গাছপালা, প্রাণী, অণুজীব ও বর্জ্য থেকে তৈরি করা সম্ভব।
ইমি/পথিক নিউজ