মসজিদের আদব রক্ষা করে, মানুষের নামাজ, জিকির, বয়ান, তালিমের ক্ষতি না করে মসজিদে পানাহার করা বৈধ। বিশেষত মসজিদে যারা ইতেকাফে বসেন, তাদের মসজিদেই পানাহার করতে হয়, এতে কোনো সমস্যা নেই। নবিজির (সা.) যুগে সাহাবিরা মাঝে মধ্যে মসজিদে বসে খাবার খেতেন বলে বর্ণিত রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে হারেস (রা.) বলেন,আমরা আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুগে মসজিদে রুটি ও গোশত খেতাম। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৬৬৯)
জাবের (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে ডালসহ কিছু খেজুর ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন মিসকিনরা খেতে পারে। (সুনানে আবু দাউদ: ১৪৬৪)
বিজ্ঞাপন
তবে অপ্রয়োজনে মসজিদে ঘুমানো ও খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উত্তম। বিশেষত যদি ঘুমানো ও খাওয়ার কারণে মসজিদের ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় তাহলে বিরত থাকতে হবে। হানাফি ফকিহরা ইতিকাফের নিয়ত ছাড়া মসজিদে ঘুমানো ও খাওয়া-দাওয়া করাকে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন।
মসজিদ মূলত নামাজ, জিকির, তালিম ইত্যাদি ইবাদতের জায়গা। মসজিদের মর্যাদা রক্ষা করা মুসলমানদের কর্তব্য ও তাকওয়ার দাবি। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,
বিজ্ঞাপন
ذٰلِکَ وَمَنۡ یُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰهِ فَاِنَّهَا مِنۡ تَقۡوَی الۡقُلُوۡبِ
এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটাতো তার অন্তরের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ। (সুরা হজ্জ: ৩২)
ইমি/পথিক নিউজ