সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে সৌদি আরবে একদিনে ৭ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শিরশ্ছেদের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এর আগে শুধু একবার দেশটিতে এর চেয়ে বেশি সংখ্যক অপরাধীর শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল একদিনে। ২০২২ সালের মার্চে একদিনে ৮১ জনের শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল সউদীতে। সেবার বিশ্বজুড়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল দেশটির সরকার।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রয়ত্ত বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরি ও অর্থায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন এই ৭ জন। তাদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে, তাদের নামের বিষয়টি ইঙ্গিত করছে যে তারা সবাই সউদীর নাগরিক ছিলেন।
সউদী প্রেস এজেন্সির খবরে আরও বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ৭ জন সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরি এবং অর্থায়ন করেছিলেন। একইসঙ্গে সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের জন্য অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন তারা।
তবে, তাদের প্রতিষ্ঠিত গ্রুপের নাম কী ছিল বা কী ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তারা, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও কিছু জানায়নি সউদী প্রেস এজেন্সি।
উল্লেখ্য, বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিক দিয়ে শীর্ষ তিন দেশের অন্যতম সউদী আরব। এ বছর এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৯ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১৭০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরা করা হয়েছিল সউদীতে। এর মধ্যে ডিসেম্বরে ৩৮ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।
এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা থাকলেও সউদী কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আইন ও কোরআনভিত্তিক শরীয়াহ শাসন অক্ষুন্ন রাখতে মৃত্যুদণ্ড অপরিহার্য।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে শীর্ষ তিন দেশের অপর দুটি দেশ হলো চীন ও ইরান।
ইমি/ পথিক নিউজ