হুতিদের হামলায় ব্যাহত হচ্ছে ব্যবসা

লেখক:
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

ইয়েমেনের হুতিদের হামলার কারণে যুক্তরাজ্যের অর্ধেকের বেশি রপ্তানিকারকের ব্যবসা ব্যাহত হয়েছে। ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের (বিসিসি) জরিপ অনুসারে, দেশটির ৫৫ শতাংশ রপ্তানিকারক জাহাজ চলাচলে বড় ধরনের খরচ এবং বিলম্বের কথা জানিয়েছেন। একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন ৫৩ শতাংশ উৎপাদনকারী এবং ব্যবসায়িক ও ভোক্তা পরিষেবা সংস্থাগুলো। খবর: আল জাজিরা।

 

চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এক হাজার সংস্থার ওপর পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে, সব ধরনের ব্যবসার মধ্যে ৩৭ শতাংশ কোম্পানি হুতিদের আক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

জরিপে অংশ নেয়া কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলছে, কনটেইনার ভাড়ার খরচ চারগুণ বেড়েছে। পণ্য সরবরাহে সময় বেড়েছে চার সপ্তাহ।

 

বিসিসির বাণিজ্যনীতির প্রধান উইলিয়াম বেইন বলেছেন, শিপিং ও মালবাহী শিল্পে বিদ্যমান অসুবিধাগুলো মোকাবিলায় আমাদের অতিরিক্ত কিছু সক্ষমতা রয়েছে, সেটিই আমাদের কিছ– সময় দিয়েছে। তবে আমাদের গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি যত বেশি সময় ধরে চলতে থাকবে, বাড়তি ব্যয়ের চাপ তৈরি হতে শুরু করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

 

 

ইরান-সমর্থিত হুতিরা গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরের এই নৌপথটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শিপিং রুট। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি দেখানোর জন্য ইয়েমেনের সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

 

ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অনুসারে, হুতিদের এই হামলা বিশ্ব বাণিজ্যে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটিয়েছে। লোহিত সাগরকে সুয়েজ খালের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগরের সংযুক্তকারী এই রুটে জাহাজ চলাচল আনুমানিক ৪২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

 

চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় জনপ্রিয় চা ব্র্যান্ড টেটলি টি বলেছিল, লোহিত সাগরে বাধার কারণে তারা ‘অনেক কঠোর’ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

 

এদিকে এসব হামলার প্রতিক্রিয়ায় হুতিদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েক দফায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এছাড়া হুতিদের বিরুদ্ধে হামলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র একটি বহুজাতিক নৌ টাস্কফোর্সও গঠন করেছে, যার লক্ষ্য লোহিত সাগরের ট্রানজিট রুটে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা রক্ষা করা।

 

ইমি/ পথিক নিউজ