বিশেষ প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার এবং মাত্র ১৫ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে নিহতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত।
প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানা যায়, ১৫ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটে কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া এলাকায় জামাল বাদশা (৪৫) নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়ির পেছনে নির্মাণাধীন বাথরুমের ট্যাংকির ভিতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির মালিক ট্যাংকির ঢাকনা খুললে তিনি একটি মরদেহ দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি কালিহাতী থানায় জানালে থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কালিহাতী সার্কেলের (সহকারী পুলিশ সুপার) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্)।
পরবর্তীতে জানা যায়, ঘাটাইল থানায় ১২ এপ্রিল নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি (নং ৬৬৯) করা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরে নিহতের পরনের কাপড়, হাতঘড়ি এবং প্যান্টের পকেটে থাকা মানিব্যাগে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন কাগজ ও ট্যাক্স টোকেন দেখে পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি আব্দুল আলীম (২০) নামে শনাক্ত করেন।
কালিহাতীতে বাথরুমের ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের সম্মানিত পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্)-এর তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) ও কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম ভূঁঞার নেতৃত্বে একটি চৌকস তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্ত টিমে ছিলেন এসআই মো. মিজানুর রহমান, এসআই শহিদুল ইসলাম মোল্লা, এসআই মিন্টু চন্দ্র ঘোষ, এসআই ইমাম হোসেন, এসআই শফিকুল ইসলাম, এসআই সুকান্ত রায় ও এসআই রাজীব। প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে অভিযানে নামে দলটি।
অভিযানে অভিযুক্ত নোমান (২০)-কে উপজেলার মহিষজোড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, পায়ের জুতা ও আরও কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে আসামী তার নিজের দোষ স্বীকার করেছে।