৩০ টাকার লটারির টিকিটে লরি চালকের কপাল খুলল!
পথিক নিউজ ডেস্ক: ভাগ্য বদলের গল্প যেন সিনেমার পর্দা ছাপিয়ে বাস্তবেই নেমে এলো পূর্ব বর্ধমানের এক সাধারণ লরি চালকের জীবনে। মাত্র ৩০ টাকার একটি লটারির টিকিট বদলে দিল তাঁর জীবনের গল্প। লরি চালক শেখ আজীদ আজ কোটিপতি — তবে এই আনন্দের মধ্যেও রয়েছে এক অদ্ভুত অধ্যায়: লটারি জেতার পর টানা চারদিন জেলেই কাটাতে হয়েছে তাঁকে!
পূর্ব বর্ধমানের গোপালপুরের বাসিন্দা শেখ আজীদ পেশায় লরি চালক। প্রতিদিনের মতোই ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝে লটারির টিকিট কাটতেন তিনি। ভাগ্যে কী আছে কে জানে — সেই ভাবনাতেই সম্প্রতি আসানসোল থেকে ফেরার পথে জাতীয় সড়কের ধারের একটি দোকান থেকে কাটেন ৩০ টাকার একটি লটারির টিকিট। আর সেই এক টিকিটই যেন খুলে দেয় ভাগ্যের দুয়ার।
কিছুদিন পরেই জানা যায়, শেখ আজীদ জিতে গেছেন প্রথম পুরস্কার — একেবারে কোটিপতি পুরস্কার! কিন্তু এখানেই শুরু হয় এক নতুন নাটকীয়তা। পুরস্কার জেতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় হৈচৈ পড়ে যায়, ভিড় জমে বাড়ির সামনে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন শেখ আজীদ নিজেই।
অবশেষে তিনি আশ্রয় নেন পুলিশের কাছে। জানা যায়, লটারি জেতার খবর জানার প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যেই দেওয়ানদিঘি থানায় হাজির হন তিনি এবং অনুরোধ করেন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য। পুলিশের পক্ষ থেকেও তাঁর আবেদন গ্রহণ করা হয়। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁকে সাময়িকভাবে থানার হেফাজতেই রাখা হয় — অর্থাৎ টানা চারদিন কাটে জেলখানায়।
এরপর পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় বুধবার সন্ধ্যায় শেখ আজীদকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমানের একটি অনুমোদিত লটারির দোকানে। সেখান থেকেই অনলাইনে সরকারি প্রক্রিয়া অনুসারে পুরস্কারের আবেদন সম্পন্ন হয়।
নতুন জীবনের শুরুতে শেখ আজীদ জানিয়েছেন, এই অর্থ দিয়ে তিনি কিছু জমি কিনতে চান এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে চান।
এক সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জীবনে এমন ভাগ্যবদল যেমন অবিশ্বাস্য, তেমনি তাঁর সতর্কতা ও পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপও প্রশংসনীয়।