অন্ধ ভিক্ষুককে নিজের টিফিন খাইয়ে দিল ছাত্রী! মানবিকতার নজিরে আবেগপ্রবণ নেটপাড়া

অনলাই ডেক্স

পৃথিবীতে দিনকেদিন মানবতার নজির কমে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু শিশুদের নিষ্পাপ মনে যে থাকে না ধনী-দরিদ্রের বিভেদ। সমাজের কঠিন বাস্তব নয়, শিশুদের কাছে সকলেই সমান। তাই তো ছোট্ট হৃদয় কেঁদে ওঠে অভুক্ত দরিদ্র মানুষের জন্য। যেমন এক স্কুল পড়ুয়াকে রাস্তায় অন্ধ ভিক্ষুকের মুখে নিজের টিফিন তুলে দিতে দেখা গিয়েছে। ভিক্ষুকের জন্য এগিয়ে দিয়েছে খাবার ও জল। ইন্টারনেটে ভাইরাল সেই দৃশ্য মন ছুঁয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কত রকম ভিডিয়া সামনে আসে। যা দেখে কখনও অবাক হতে হয়, আবার কখনও জাগে বিস্ময়। তবে এরই মধ্যে কিছু দৃশ্য সকলের নজর কাড়ে। রোজকার ব্যস্ততার জীবনে ক্ষণিকের জন্য় হলেও ভালো করে দেয় মন। ঠিক যেমন সম্প্রতি এক ছোট্ট স্কুল ছাত্রীকে তার টিফিন অন্ধ ভিক্ষুকের সঙ্গে শেয়ার করতে দেখা যায়। নিজের হাতে ভিক্ষুকের মুখে খাবার তুলে দেয় ছোট্ট মেয়ে। নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। যা দেখলে চোখ ভিজতে পারে আপনারও।

ইনস্টাগ্রামে Queen of Valley নামে পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ব্যস্ত রাস্তায় এক অন্ধ ভিক্ষুকের সঙ্গে কথা বলছে এক স্কুল ছাত্রী। কয়েক মুহূর্ত পরই পড়ুয়াকে তার ব্যাগ থেকে টিফিন বার করতে দেখা যায়। এরপর টিফিন বাক্স থেকে স্যান্ডইউচ বের করে ভিক্ষুককে খাওয়ার জন্য় দেয়। কিন্তু অন্ধ ভিক্ষুক প্যাকেট খুলে খেতে পারবেন না বুঝতে পেরে সে নিজেই স্যান্ডউইচ খুলে দেয়।

ভিডিয়োটি খানিক এগোতেই দেখা গিয়েছে যে নিজের হাতে ভিক্ষুককে খাইয়ে দিচ্ছে এবং তাঁর খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে পড়ুয়া। একসময় ছাত্রীর মা-কেও পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়। যদিও মেয়ে কী করছে বুঝতে পেরে তিনি অন্য দিকে চলে যান। মেয়ের কাজে সমর্থন করেন তিনি। এরপর ভিক্ষুকের খাওয়া হয়ে গেলে জলের বোতলও এগিয়ে দেয় পড়ুয়া। আর এমন দৃশ্য় দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে নেটপাড়া।

ভিডিয়োটি সোশ্য়াল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। প্রায় 2 লাখের বেশি মানুষ ভিডিয়ো দেখেছেন। এসেছে অসংখ্য মানুষের প্রতিক্রিয়া। বেশিরভাগ নেটিজেনই সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করার জন্য মেয়েটির মায়ের প্রশংসা করেছেন। কেউ বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে যেন ছোট মেয়েটির রূপে ভগবান এসে হাজির হয়েছেন।’ আবার কারোর মতে, ‘এটাই আসল শিক্ষা।’

পথিক নিউজ/ মো:ইমন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *