পুরুষদের জন্য নামাজের সময় চুল বেঁধে রাখা মাকরুহ। পুরুষের জন্য চুল বেঁধে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। আবু সাদ অথবা আবু সাঈদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, একবার আবু রাফি (রা.) হাসানকে (রা.) মাথার চুল বাঁধা অবস্থায় নামাজ পড়তে দেখে তার চুলের বাঁধন খুলে দেন অথবা এমন করতে নিষেধ করে বলেন, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পুরুষদের মাথার চুল বাঁধা অবস্থায় নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৬৪৬; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ১০৫১)
নারীদের চুল সতরের অন্তর্ভুক্ত, যা নামাজে ঢেকে রাখা ফরজ। তাই তারা চুল বেঁধে নামায পড়তে পারবে যাতে চুল ঢেকে রাখা সহজ হয় এবং এর কোনো অংশ প্রকাশ না পায়। তবে বড় উর্নায় ঢেকে চুল ছেড়ে দিয়েও নারীরা নামাজ পড়তে পারে।
বিজ্ঞাপন
নামাজে যে অঙ্গগুলো ঢাকা ফরজ সে অঙ্গগুলোর কোনোটির চার ভাগের এক ভাগ বা এর বেশি যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় খোলা থাকে, তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। নারীদের সব চুল মিলে এক অঙ্গ গণ্য হয়। তাই নামাজের সময় মাথার সব চুলের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ বা তার বেশি যদি তিনবার ‘সুবহানা রব্বিয়াল আযীম’ বলা পরিমাণ সময় বের হয়ে থাকে, তাহলে নামাজ নষ্ট হবে, অন্যথায় নয়। তবে পুরো মাথা এবং সব চুলই যেহেতু ঢেকে রাখা ফরজ, তাই পুরো মাথা পূর্ণ সতর্কতার সাথে ঢেকে রাখা উচিত যেন চুলের কোনো অংশ অনাবৃত না থাকে।
ইমি/পথিক নিউজ