ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন “তরী বাংলাদেশ” লক্ষ্য করছে যে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা কার্যে দেশব্যাপী প্রার্থীগণের নির্বাচনী পোস্টার প্লাস্টিক লেমিনেশন ও নিষিদ্ধ পলিথিনে মোড়ানো হচ্ছে। “তরী বাংলাদেশ” আরও লক্ষ্য করছে যে, প্লাস্টিক লেমিনেশন ও পলিথিন মোড়ানো পোস্টার গুলো শেষ পর্যন্ত প্রকৃতিতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে যার ফলে মাটি, নদী, জলাশয় তথা পরিবেশ দূষিত ও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে। আমরা জানি- পলিথিন অপচনশীল পদার্থ, এর পরিত্যক্ত অংশ দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থাকে, ফলে মাটি ও পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও গুণাগুণ নষ্ট করে। পলিথিন জলাবদ্ধতা, নদী দূষণ, নদীর জীববৈচিত্র ও নাব্যতা বিনষ্ট করে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০০২ সনের ৬নং আইনে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রকার পলিথিন শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি কোনো সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপণ দ্বারা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারি করতে বা উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি বাধ্য থাকবেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, যাঁরা আইন প্রণেতা হওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন তাঁরাই আইন পরিপাস্থি কাজ করছেন। পরিবেশ রক্ষার বৃহৎ স্বার্থে নদী ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক লেমিনেশন ও পলিথিন মোড়ানো পোস্টার ব্যবহার বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জনাব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব কাজী হাবিবুল আউয়াল এর হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি প্রেরণ করেছে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন “তরী বাংলাদেশ”। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মহোদয়ের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন মো. সাইফুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, তরী আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী, সুশান্ত পাল, মো. খাইরুজ্জামান ইমরান, নাজমুল খান, মো. হেকিম, শাহ্ আবদুল মনসুর আলামিন, অমৃত ঋষি প্রমুখ।