অনলাইন ডেক্স রিপোট
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ২৩ বস্তা টাকা। শনিবার ( ১৯ আগস্ট) সকাল ৮টায় মসজিদের নিচতলায় রক্ষিত আটটি লোহার দানসিন্দুক খোলা হয়। দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
এবার তিন মাস ১৩ দিন পর এই দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার প্রাপ্ত অর্থ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। রাত সোয়া ৯টার দিকে গণনা শেষে জানা যায়, এবার পাওয়া টাকার পরিমাণ পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, দানসিন্দুক খোলার পর টাকাগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলার মেঝেতে ঢালা হয়। প্রথমে নোটওয়ারি টাকা বাছাই ও পরে গণনার কাজ শুরু হয়। এই কাজে অংশ নেন মসজিদ কমিটির ৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন স্টাফ ও মসজিদ সংলগ্ন নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১৩৮ জন ছাত্র। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ জন সহযোগিতা করেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে ছয় জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। রাতেই প্রাপ্ত টাকা রূপালী ব্যাংকে মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া কথা জানিয়েছে মসজিদ কমিটি।
এর আগে গত ৬ মে দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ১৯টি বস্তায় রেকর্ড পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। প্রতিবারের মতো এবারও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। সাধারণত তিন থেকে সাড়ে তিন মাস অন্তর দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় চার একর ভূমির ওপর পাগলা মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত। দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন এতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান দান ও মানত করতে আসেন। তাছাড়াও প্রতিদিনই লোকজন মানতের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতিও নিয়ে আসেন। ওইগুলো বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। অন্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও বিশ্বাসের কারণে এই মসজিদে এসে দান ও মানত করে থাকেন।
মো:ইমন/ পথিক নিউজ