হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের কার্যক্রম প্রত্যাহার করে নিতে দুই মানি চেঞ্জারকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মানি চেঞ্জাররা বিমানবন্দর থেকে তাদের কার্যক্রম প্রত্যাহার না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের লাইসেন্সও বাতিল করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানি চেঞ্জার দুটি হলো এভিয়া মানি চেঞ্জার ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই দুই মানি চেঞ্জার তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা পাঠিয়ে এক মাসের মধ্যে কার্যক্রম প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। অর্থাৎ ৯ মার্চের আগে বিমানবন্দর থেকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।
জানা যায়, দুই মানি চেঞ্জারের অনেক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা উচ্চ দরে গ্রাহকদের কাছে ডলার বিক্রি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। আর তাদের ডলার ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্বচ্ছতা ছিল না। তারা ডলার কেনার সময় গ্রাহকদের ভুয়া রসিদ দিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানি চেঞ্জারদের এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণত প্রতিদিন হাজার হাজার প্রবাসী শ্রমিক ও বিদেশ থেকে যাত্রীরা বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তারা বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রার বুথ এবং মানি এক্সচেঞ্জারে স্থানীয় মুদ্রা বা বাংলাদেশি টাকায় নগদ অর্থ প্রদান করে। বিদেশি মুদ্রা নগদকরণ ভাউচার আইন, বিধি ও প্রবিধান অনুযায়ী এনক্যাশারকে প্রদান করতে হয়। কিন্তু মানি চেঞ্জাররা ভাউচার বা জাল ভাউচার না দিয়ে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে এবং বিনিময়ে টাকা দেয়। তারা স্বাক্ষরবিহীন, জাল ভাউচার বা এনক্যাশমেন্ট সিøপ ইস্যু করে। মানি চেঞ্জাররা এই বৈদেশিক মুদ্রাগুলো কিনেছিলেন তারা প্রধান হিসাবে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত অ্যাকাউন্টে অন্তর্ভুক্ত করেননি। ফলস্বরূপ, এই বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় রিজার্ভ যোগ করা হয় না। এতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি বা সংকট তৈরি হয়। তাছাড়া গত দুই বছর বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকগুলো মানি চেঞ্জারের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। খোলা বাজারে ডলারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার কারণে বন্ধ করেছে।
ইমি/পথিক নিউজ