বাজারে পেঁয়াজ, রসুন ও মাছের দাম চড়া

লেখক:
প্রকাশ: ২ মাস আগে

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রেতা মোশারফ মিয়ার বলেন, আমরা দুই দিন আগের ১০০ টাকায় কেনা পেঁয়াজ বাজারে বেড়েই চলছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা কেজির পেঁয়াজ সপ্তাহ ঘুরেই কেজিপ্রতিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে একই পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশীয় রসুন ১৬০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

১১০ টাকায় বিক্রি করছি। সেই পেঁয়াজ ১০৯ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। ফলে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাড়তি দামে কিনলে বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের কিছুই করার নেই।

 

ক্রেতারা বলেন, বজারে তেল-চিনি-পেঁয়াজ কিছুই তো নাগালের মধ্যে নেই। ৪০ টাকার পেঁয়াজ এখন ১৩০ টাকা। মানে কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০০ টাকার মতো। এভাবে কীভাবে মানুষ ভালো থাকবে? আমাদের শুধু মেনে নিতে হচ্ছে। ১৩০ টাকার পেঁয়াজকেই এখন সহনশীল করে নিতে হচ্ছে। তেল-চিনিরও একই অবস্থা।

 

বৃহস্পতিবার বিকালে চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা থেকে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে একই দিন সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে আসে। সরকারের এ দোটানা সিদ্ধান্তের পর খোলা বাজারে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করছেন কতিপয় ব্যবসায়ী। চিনি  বিক্রেতারা বলছেন, গতকাল যে চিনির দাম ওঠা-নামা করেছে তাতে বাজারে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। আমরা ১৪৫ টাকা করে চিনি বিক্রি করছি। তবে প্রথম দিকে ১৫০ টাকা করে দাম চেয়ে ১৪৫ করে দিয়ে দিচ্ছি। কেউ বেশি নিলে ১৪০ টাকায়ও দিচ্ছি।

 

 

বাজারে মটরশুঁটি ৮০-৯০ টাকা, গোল আলু ৩০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা (বড়) ১৬০ টাকা, করলা (ছোট)-১২০-১৪০ কাঁচা পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০-৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০-৯০ টাকা, ঢ্যঁড়িস ১০০-১১০ টাকা এবং শিম ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা এবং ফুলকপি-পাতাকপি প্রতি পিস ৩০-৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকা, ভারতীয় রসুন ২২০ এবং দেশীয় রসুন ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

সবজি বিক্রেতারা বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজিই ১০ থেকে ২০ টাকা দাম কমেছে। মূলত গতকাল রাতে বৃষ্টির কারণে মোকামে কম মানুষ হয়েছে। যার কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা চড়া দাম হাঁকাতে পারেনি। আশা করি এ সপ্তাহে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে ক্রেতারা বলেন, বিক্রেতারা যেভাবে বলছেন সবজির দাম ১০-১৫ টাকা করে কমেছে আদতে তা ঠিক নয়। কয়েকটা সবজির ক্ষেত্রে ৫-৭ টাকা কম আছে গত সপ্তাহের তুলনায়।

 

গতকাল প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, মাঝারি রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, ছোট কাতলা মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় কাতলা মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, বড় পাঙ্গাশ মাছ ২৮০-৩০০ টাকা, আকার ভেদে ইলিশ মাছ ৭০০-১২০০ টাকা, সিলভারকার্ব মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০-৭০০ টাকা, কালিবাউশ ফালি মাছ ৪৫০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ টাকা, বড় কৈ মাছ ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট মাছের মধ্যে চিংড়ি ৩০০ টাকা, কাচকি মাছ ৪৫০ টাকা, মলা মাছ ৩০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

মাছ বিক্রেতা বলেন, ঢাকা শহরে বাজার ভেদে বিভিন্ন জায়গায় একেক রকম দামে মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে সবমিলিয়ে দামের পার্থক্য মোটামুটি কাছাকাছিই থাকে। মাছের দাম গত সপ্তাহে যেমন ছিল এবারও তেমনই আছে। খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। তবে ক্রেতার বলছে, সব ধরনের মাছে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। কিছু কিছু মাছে সেটা আরও বেশি বেড়েছে।

ইমি /পথিকনিঊজ