অনলাইন ডেস্ক:
ভাগ্যে থাকলে আটকায় কে? স্রষ্টার অনুগ্রহ থাকলে রাতারাতি বড় লোক হতে কোন কারন লাগে না। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনিয়শার এক কৃষ্টান কৃষকের সাথে।
বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন তিন সন্তানের জনক জশুয়া হুতাগালাং। ওই সময় বিকট আওয়াজ শুনতে পান জশুয়া। আওয়াজটা এসেছে তাঁর ঘরের টিনের চাল থেকে। দৌঁড়ে ঘরের দিকে যান। এবার চালটা বুঝি আর টিকল না–এমনই হয়তো ভাবছিলেন জশুয়া। কিন্তু তিনি ভাবতেই পারেননি, এই এক ঘটনায় কোটিপটি বনে যাবেন।
ইন্দোনেশিয়ার কোলাং এলাকার একটি গ্রামে সম্প্রতি মহাকাশ থেকে আসা একটি উল্কার অংশ পড়েছে। সেটিই পড়ে জশুয়ার ঘরে। তিনি তখন ভাবছিলেন, নতুন চাল কেনার টাকা কোথায় পাবেন। কিন্তু যা পেলেন, তা দিয়ে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যান জশুয়া।
সংবাদমাধ্যম লেডবাইবেল ডটকম বলছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটির ১৫ সেন্টিমিটার গভীর থেকে একটি পাথর খুঁজে পান জশুয়া। এই পাথরই পরে ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করেন তিনি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯ কোটি টাকা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাথরটির ওজন ২.১ কেজি। মহাকাশের কোনো এক জায়গায় ৪৫০ কোটি বছর আগে এই পাথরের জন্ম হয়। এ ধরনের উল্কাকে বলা হয় সিএম ১/২ কার্বোনেশিয়াস কনড্রাইট, যা বিরল। এ কারণে নিজের ৩০ বছরের বেতন দিয়ে এই উল্কাপিণ্ড কিনে নেন এক বিশেষ সংগ্রাহক।
দেখতে ফুটবলের মতো এই উল্কার ব্যাপারে সেই বাড়িওয়ালা জশুয়া বলেন, সেদিন বিকট আওয়াজে পুরো বাড়ি কেঁপে উঠেছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। গিয়ে দেখি পুরো টিনটাই গেছে। পাথর দেখে এই পৃথিবীর বলে মনে হয়নি।
এটি বিক্রি করে পাওয়া টাকার একটি অংশ দিয়ে গ্রামে একটি নতুন গির্জা বানাতে চান জশুয়া।