ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ৩১ মে শনিবার , বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্থপতি, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, এবং স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ব্যবস্থাপনায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সার্বিক তত্ত্বাবধানে এক বর্ণাঢ্য বইপ্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০টায় সূচনা হয় এ আয়োজনের, যেখানে জিয়াউর রহমানের জীবন, রাজনৈতিক দর্শন, এবং দেশের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ নিয়ে আলোকপাত করা হয়। দিনব্যাপী বইপ্রদর্শনীতে জিয়াউর রহমান সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বই ও ঐতিহাসিক দলিলপত্র প্রদর্শিত হয়, যা আগত দর্শনার্থীদের কাছে ইতিহাসচেতনা জাগ্রত করার অনন্য সুযোগ করে দেয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মানিত সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
সভাপতিত্ব করেন জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির অন্যতম সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা, যিনি জাতিকে একটি সুসংগঠিত ও আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র গঠনের পথে পরিচালিত করেছিলেন। তাঁর প্রবর্তিত বহুদলীয় গণতন্ত্র, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার দূরদর্শিতা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের চিটাগাং সার্কিট হাউজে এক নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে শহীদ করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ছিল একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত, যা জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অনুসরণ করার উপর জোর দেন।
অনুষ্ঠান শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, সাধারণ জনগণ, শিক্ষার্থী ও ইতিহাস সচেতন নাগরিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা জানান, ভবিষ্যত প্রজন্মকে জাতির ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত করতে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার নিয়মিতভাবে এমন আয়োজন করে যাবে এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানকে তুলে ধরতে আরও গবেষণাধর্মী ও তথ্যভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।