W3Schools.com  

সত্যিকারের সম্পদ : লিটন হোসাইন জিহাদ

লেখক:
প্রকাশ: ২ মাস আগে

প্রথম পর্ব: বিত্তশালী ব্যবসায়ী

ইমরান একজন সফল ব্যবসায়ী। তার অনেক সম্পত্তি ও ধন-সম্পদ ছিল। ধনী হওয়ার কারণে তিনি সবসময় ব্যস্ত থাকতেন ব্যবসায়িক কাজ নিয়ে এবং পরিবারের প্রতি তার মনোযোগ কম ছিল। ইমরান ভাবতেন, দুনিয়ার সমস্ত সম্পদই তাকে সবকিছু দেবে।

দ্বিতীয় পর্ব: ঘটনার শুরু

একদিন ইমরান এক বৃদ্ধ লোককে দেখতে পান, যিনি তার দোকানের সামনে এসে সাহায্য চাইছিলেন। বৃদ্ধ লোকটি ক্ষুধার্ত এবং দুর্বল ছিল। ইমরান বৃদ্ধকে অবহেলা করে তার কাজে ফিরে যান। কিন্তু সেই রাতে, ইমরান ঘুমাতে পারলেন না। বৃদ্ধ লোকটির মুখ তার মনে ভেসে উঠছিল বারবার।

তৃতীয় পর্ব: হৃদয়ের পরিবর্তন

কয়েক দিন পর, ইমরান তার ব্যবসায়িক কাজে বাইরে যাচ্ছিলেন। পথে তিনি মসজিদের ইমামের সঙ্গে দেখা করেন। ইমাম তাকে প্রশ্ন করেন, “ইমরান ভাই, আপনি কি জানেন সত্যিকারের সম্পদ কী?” ইমরান উত্তর দেন, “হ্যাঁ, আমার সম্পদ, আমার ব্যবসা।”

ইমাম হাসলেন এবং বললেন, “আসল সম্পদ হলো সৎকর্ম ও আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। ধন-সম্পদ দুনিয়াতে থেকে যায়, কিন্তু নেক আমল পরকালে আমাদের সঙ্গে যায়।”

চতুর্থ পর্ব: শিক্ষণীয় মুহূর্ত

ইমরান ভাবতে লাগলেন ইমামের কথা। তিনি উপলব্ধি করলেন, জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং মানুষকে সাহায্য করা। তিনি সেই বৃদ্ধ লোকটির কথা ভাবলেন এবং তার হৃদয় নরম হয়ে গেল।

পঞ্চম পর্ব: নতুন শুরু

ইমরান তার জীবনধারা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি ব্যবসা চালিয়ে গেলেন, কিন্তু তার আয় থেকে একটি অংশ দরিদ্র ও অভাবীদের জন্য দান করতে শুরু করলেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করলেন এবং আল্লাহর ইবাদতেও মনোনিবেশ করলেন।

শেষ পর্ব: সত্যিকারের সুখ

ইমরানের হৃদয়ে এক নতুন প্রশান্তি অনুভূত হলো। তিনি বুঝতে পারলেন, জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো সৎকর্ম ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। দুনিয়ার সম্পদ সাময়িক, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী।

শিক্ষণীয় কথা:

এই গল্প থেকে আমরা শিখি, দুনিয়ার ধন-সম্পদ আমাদের প্রকৃত সুখ দিতে পারে না। সত্যিকারের সুখ ও শান্তি আসে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও সৎকর্মের মাধ্যমে। তাই আমাদের উচিত মানুষের কল্যাণে কাজ করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সৎকর্ম করা।

“তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে দান না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পূর্ণ সৎকর্মশীলতা লাভ করতে পারবে না। আর তোমরা যা কিছু দান করো আল্লাহ তা জানেন।” (সূরা আল ইমরান: ৯২)