ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধের দাবিতে যার য়ার অবস্থান থেকে গন আন্দোলন গড়ে তুলুন।

লেখক:
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: রবিউল আউয়াল এর ৩০দিন ঘরে ঘরে মিলাদ দিন শিরোনামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভাদুঘরে গাউসিয়া সুন্নী যুব সংগঠনের উদ্যোগে মাসব্যাপী মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত এর মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটি দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে। রবিবার ছিল সমাপনী দিন। সমাপনী দিনে সুন্নীয়তের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে স্থানীয় শাহ সুফি সৈয়দ সোলাইমান উসমান গনি ইয়ামেনী (রাহঃ) এর মাজার প্রাঙ্গণে এক বিশাল মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ রমজান আলী মুনসীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গাউসিয়া কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. সেলিম হোসাইন আল-ক্বাদরী, যুবসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের মানবাধিকার সম্পাদক যুবনেতা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মাও. গুলজার আহমদ, মাও. জাবের আহমেদ আল হোসাইনি, মুহাম্মদ জাবেদ উমর, সাংবাদিক লিটন হোসাইন জিহাদ, মুহাম্মদ ঈমান আলী, মুহাম্মদ শুক্কুর আলী, হাফেজ আজিম আত্তারী, মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনসহ প্রমুখ। মিলাদ মাহফিলে ইজরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনে শিশুকিশোর সহ নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে তা বন্ধে জাতিসংঘের কঠোর পদক্ষেপ দাবির পাশাপাশি মুসলিম বিশ্ব কে এক হয়ে ইজরাইলের সকল নির্যাতন প্রতিহতের দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের মানবাধিকার সম্পাদক যুবনেতা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, নিষ্ঠুর ইজরাইল ফিলিস্তিনে যেভাবে নির্বিচারে শিশু, কিশোর সহ নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে তা সয্য করা মত না। এই শিশু গুলোর মততো আমার আপনার শিশুও আছে। কি অপরাধ ছিল এই শিশু গুলোর। এই হত্যা কে তিনি কারবালার হত্যা সাথে তুলানা করে বলেন, কারবালায় যেমন ইয়াজিদ নিষ্ঠুরভাবে ইমাম হোসাইন সহ ৭২ জন সাহাবীকে হত্যা করেছে ফিলিস্তিনেও ইজরাইল এমনি হত্যা চালাচ্ছে। কে নিবে এই নৃশংস হত্যার দায়ভার। শিশু হত্যাকারী জালিমদের বিচার নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। নৃশংস হত্যা বন্ধে তিনি জাতিসংঘ সহ ওআইসির কঠিন পদক্ষেপের দাবি জানান। জালিমের হাতে শহীদ হওয়া সকল কে শহীদী মর্যাদা দান করে জান্নাতে আ’লা দান করার জন্য ও নৃশংস হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের আসমানী, জমিনি কঠিন গজব দিয়ে ধ্বংস করে দিতে দয়ামায়া আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করেন। প্রয়োজনে বায়তুল্লাহ মত আবাবিল পাখি দিয়ে মুসলমানের প্রথম কেবলা বায়তুম মোকাদ্দাস কে রক্ষা করে ফিলিস্তিন কে হেফাজত করার জন্যও তিনি প্রার্থনা করেন।