বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃবগুড়ায় ‘বিষাক্ত’ অ্যালকোহোল পানে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরো দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার বিকেলে বিষয়টি জানিয়েছেন বগুড়া সদর থানার তদন্ত পরিদর্শক এ কে এম মইন উদ্দিন।
নিহতরা হলেন, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাজী পাড়ার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের পালিত ছেলে আওরঙ্গজেব চিন্টু (৩৫) ও ঠনঠনিয়া বটতলা এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাসেল(৩০)।
এদের মধ্যে আওরঙ্গজেব শুক্রবার রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। একই হাসপাতালে রাত তিনটার দিকে মারা যান রাসেল।
আহতদের মধ্যে এনামুল হক পিলু (৪৫) শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অপরজন শ্রী সনি রায়কে (৩১) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার পরিবার। এ দুজন ঠনঠনিয়া হাঁড়িপাড়ার বাসিন্দা।
হতাহতদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ বিকেলে আওরঙ্গজেব শহরের ১ নং রেল ঘুমটি থেকে তিনটি প্লাস্টিকের বোতলে অ্যালকাহোল কিনে আনেন। ওই দিন সন্ধ্যায় চারজন এক সাথে অ্যালকাহোল পান করে। রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এনামুল হক পিলু জানান, ২৭ তারিখ রাতে সেলিম হোটেলের সামনের রেল ঘুমটি থেকে অ্যালকোহলের বোতল কিনে নিয়ে আসে চিন্টু। সেটা আমরা চারজন মিলে খাই। খাওয়ার একদিন পর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। সাথে শ্বাসকষ্ট ছিল।
এনামুলের ভাই এমদাদ হোসেন জানান, তার ভাই কাপড়ের ব্যবসা করেন। সে মদ খেত আমরা জানি। তার সাথেকার আওরঙ্গজেব ও রাসেল মারা গেছে। সনি নামে আরেকজন মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাত তলার মেডিসিন বিভাগে গিয়ে দেখা যায় সনি প্রায় অচেতন অবস্থায় ছিল। অ্যালকোহল পানের বিষয়টি স্বীকার করে তার ভাতিজা দেব রায় জানান, আজ সকাল ১০ টার দিকে তার কাকা অসুস্থ বোধ করেন। পরে তাকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনেরা।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের জরুরি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. মুনতাসীর রহমান জানান, অ্যালকাহোল পান করে অসুস্থ হয়ে এনামুল নামে একজন ভর্তি হয়েছে আমাদের হাসপাতালে। সেই সাথে তার শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা আছে। তিনি কিছুটা ভালো, তবে এখনও শংকা মুক্ত না।
বগুড়া সদর থানার তদন্ত পরিদর্শক এ কে এম মইন উদ্দিন বলেন, মদপানে দুই জন মারা গেছে। আর দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে দুইজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে তারা আগেই মৃতদের দাফন করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়ে খোজখবর রাখা হচ্ছে।