এডিসের প্রচন্ড ক্ষুধা; এখন দিন-রাত রক্ত খায়-রিয়াজ ইনসান

রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড সেন্টার, মোহাম্মদপুর, ঢাকা রক্তদানের সময় দাতা নুর মোহাম্মদ রিয়াজ এডিস মশা ছোট আকারের প্রজাতির হলেও বৃহদাকার মেরুদন্ডী প্রাণী প্রভাবশালী ডাইনোসরের ন্যায় পুরো পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কীট পর্বের এই ছোট প্রাণিটির প্রচন্ড ক্ষুধা; এখন দিন-রাত কামড়ায়। সহকর্মী জাহিদ বাবুর ছোট ভাই সাইফুল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ভর্তি আছেন। প্লাটিলেটের পরিমাণ উনিশ হাজারেরও কম বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। চিকিৎসক আরও জানান, তাকে বাঁচানোর জন্য অনেক রক্তের প্রয়োজন। জরুরী রক্তদানের অনুরোধে তাৎক্ষণিক পর্যায়ে তথ্যগুলো পাওয়া যায়। বিস্তারিত তথ্য রোগীর সাথে অবস্থানরত ব্যক্তি পরে জানাবেন। নেনো ইয়ার( Nano-year) পার হলেই শরীরের রক্ত বের করে দেবার ফন্দি খুঁজি। বেশ কয়েকবাস আগে মুমূর্ষু রোগী মামীকে নিউরো সায়েন্স হসপিটাল, আগারগাঁও, ঢাকা; রক্তদান করি। আজও রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড সেন্টার, মোহাম্মদপুর, ঢাকা; রক্তদানের উল্লাসে মিষ্টি রোদের আলোয় বেলেবু গাছের ঝিকঝাক পাতার পতপত শব্দ শুনে পাঁচ টাকা মূল্যের ওরস্যালাইন খেয়ে ঝিমঝিম ঘুমে—বেঁচে থাকার উৎসব চলছে। পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের প্রাগৈতিহাসিক অধিবাসী এবং বৈজ্ঞানিকদের অনুমান ডাইনোসর প্রাণীরা প্রায় ১৬ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে। ডাইনোসরের বিবর্তন হয়েছিল আনুমানিক ২৩ কোটি বছর পূর্বে। প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর পূর্বে একটি বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডাইনোসরদের প্রভাবকে পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করে দেয়। তাদের একটি শ্রেণীই কেবল বর্তমান যুগ পর্যন্ত টিকে থাকতে পেরেছে বলে বিশেষকদের মতে ধারণা করা হয়। এডিস মশাও কম নই। এডিস মশা দমন ও বিলুপ্তির জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার-এর রাজস্ব খাত থেকে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয়েও কোনক্রমেই পরিত্রাণ হয়নি। বরং অধিক গুণে বেড়ে চলছে এডিস মশার প্রকোপ। পৃথিবীতে আজও তেমন কোন নিশ্চিত কার্যকরী পদ্ধতি বা প্রতিষেধক নেই যা এডিস মশাকে দমন করতে পারবে। এডিস মশা প্রাণী জগতের আর্থোপ্রোডা পর্বের কীট শ্রেণীর হতে পারে কিন্তু এই রক্তচোষা প্রাণীটির অজ্ঞাত কামড় থেকে রেহাই পাচ্ছেনা পৃথিবীর মানুষ। ২৯ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড সেন্টার, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *