মোংলায় মেগা প্রকল্পের মালামাল নিয়ে বন্দরে পৌছেছে ২টি জাহাজ।

লেখক:
প্রকাশ: ১১ মাস আগে

মোঃসুজন মোংলা প্রতিনিধি : দেশে চলমান দুই মেগা প্রকল্পের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ তথ্য সুত্রে জানা যায়, বুধবার (১৭ মে) সকালে বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’ জাহাজে এসেছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা। আর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ের মালামাল নিয়ে এসেছে পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি সান ইউনিটি’ জাহাজ।

‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক শিপিংয়ের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, বুধবার সকাল ১০টায় মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া ৮ নম্বর বয়ায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি নোঙর করে। এরপর সেখান থেকে ছোট লাইটারে করে কয়লা খালাস করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। এর আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি হওয়া এই জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয় ১৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা। সেই কয়লা এরইমধ্যে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস করে সেখানে পৌঁছানো হবে।

বন্দরে আসা অপর বিদেশি জাহাজ ‘এমভি সান ইউনিটি’ জাহাজে এসেছে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে ব্রিজের স্টিল স্ট্রাকচার। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিম শিপের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, বেলা ১১টায় জাহাজটি বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। গত ২ এপ্রিল ভিয়েতনাম থেকে ১৬৯ প্যাকেজের এক হাজার ৫৪৮ দশমিক ৪৬ মেট্টিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে আসে জাহাজটি।

এদিন দুপুর ১২টার পর এই পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। পরে সড়কপথে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে খালাস হওয়া এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। এর আগে গত ১৯ মার্চ বিদেশি জাহাজ এমভি এভার চ্যাম্পিয়ন জাহাজে এই ব্রিজের ১৪৪ প্যাকেজের এক হাজার ৪১১ দশমিক ৬২৯১ মেট্টিক টন মেশিনারি পণ্য আসে।

এদিকে কয়লা সংকটে বন্ধ থাকা রামপাল দুই একদিনের মধ্যে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে। বৃহস্পতিবার আমদানি হওয়া এই কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে জানান- বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টানারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ ব্যবস্থাপাক আনোয়ারুল আজিম।

তিনি বলেন, নিয়মিত ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল রামপালের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৬০ মেগাওয়াট ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২০০ মেগাওয়াট খুলনা-বাগেরহাটে সরবরাহ করা হচ্ছিল। নিয়মিত উৎপাদনের জন্য কেন্দ্রটি দৈনিক পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কয়লা সংকটে গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।