শোবিজ অঙ্গনে যেন বিয়ের ধুম পড়েছে। ২ মার্চ সন্ধ্যায় টালিউড অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। তারা সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন।
জানা গেছে, দক্ষিণ কলকাতায় তাদের বিয়ের আসর বসেছিল। পরিবার ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতেই বিয়ের যাতবীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ মার্চ পার্ক স্ট্রিটের এক ব্যাংকোয়েটে বিয়ের রিসেপশন অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞাপন
শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সাতপাক, সিঁদুরদান— একেবারে বাঙালি রীতি মেনেই বিয়ে হয়েছে। জানা গেছে, বিয়ের খাবারের মেনুতেও রয়েছে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর সাজেও ঐতিহ্যের স্পর্শ রয়েছে।
শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সাতপাক, সিঁদুরদান— একেবারে বাঙালি রীতি মেনেই বিয়ে হয়েছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর। শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সাতপাক, সিঁদুরদান— একেবারে বাঙালি রীতি মেনেই বিয়ে হয়েছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর।
বিজ্ঞাপন
লাল বেনারসি, গা ভর্তি সোনার গয়না, শোলার মুকুট আর ফুলের সাজে শ্রীময়ী সেজেছেন মনের মতো করে। বরের সাজও কম জমকালো নয়। ধুতি আর ভারী কাজ করা পাঞ্জাবিতে কাঞ্চনও পাল্লা দিয়েছেন। বিয়ের বেনারসি নিজেই নকশা করেছেন শ্রীময়ী।
কাঞ্চন-শ্রীময়ী এবারের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিয়ের আইনি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। কিন্তু দুজনের ঘর বাঁধার রাস্তা একেবারেই সহজ ছিল না।
সহ-অভিনেতা থেকে স্বামী-স্ত্রী হওয়ার এ দীর্ঘ যাত্রায় এসেছে অনেক বাধা-বিপত্তি। কিন্তু হাত ছাড়েননি একে-অপরের। বরং আরও বেশি কাছাকাছি এসেছেন দুজনে। কাঞ্চনের সাবেক স্ত্রী পিঙ্কির দাবি ছিল, বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই তারা চুটিয়ে প্রেম করতে শুরু করেন বলে গুঞ্জন ওঠে।
বিজ্ঞাপন
সেই সময় কাঞ্চনের সব সময়ের সঙ্গীও ছিলেন শ্রীময়ী। নির্বাচনের প্রচার থেকে ত্রাণ বিতরণ— সর্বত্র কাঞ্চনের পাশে দেখা যেত শ্রীময়ীকেই। শোনা গিয়েছিল, কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী নাকি লিভ টুগেদারও করছেন।
বিজ্ঞাপন
ধীরে ধীরে কাঞ্চনের বাড়ির পূজা থেকে তার সিনেমা প্রিমিয়ার, সব জায়গায় শ্রীময়ীর অবাধ যাতায়াত শুরু হয়। তবে তখনো তারা সম্পর্কে আছেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছিলেন। তবে পিঙ্কির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরেই সব গোপনীয়তার আবরণ সরিয়ে প্রকাশ্যে আসেন তারা।
পিঙ্কির সঙ্গে বিচ্ছেদের ২৩ দিনের মাথায় শ্রীময়ীর সঙ্গে বিয়ের আইনি কার্যক্রম কাঞ্চন সম্পন্ন করেন। অবশেষে ২ মার্চ সন্ধ্যায় একসঙ্গে পথচলা শুরু করলেন তারা।
ইমি/পথিক নিউজ