ব্যালান্স যে বিবৃতি দিয়েছেন সেই অনুযায়ী, পেশাদার ক্রিকেট খেলতে তিনি নাকি আর উৎসাহ পাচ্ছেন না। আর সেই কারণেই নাকি তার এই সিদ্ধান্ত।
প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএ) মাধ্যমে এক বিবৃতিতে ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটার ব্যালান্স বলেন, ‘অনেক ভাবনাচিন্তার সব ধরনের পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি আমি। যে সিদ্ধান্ত এই মুহূর্ত থেকে কার্যকর হল। আশা করেছিলাম, জিম্বাবুয়েতে যাওয়ার পর ক্রিকেটকে ঘিরে নতুন করে আনন্দ পাব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ করে দেওয়া এবং দলে স্বাগত জানানোর জন্য ক্রিকেট জিম্বাবুয়ের প্রতি আমি সব সময়ই কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি এমন একটা পর্যায়ে চলে এসেছি, যখন পেশাদার ক্রিকেটের কঠিন কাজে নিজেকে পুরোপুরি নিবেদন করার উৎসাহ একদম নেই। এরপরও খেলা চালিয়ে গেলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ও খেলাটির প্রতি অন্যায় করা হত,প্রতারণা করা হত।তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ব্যালেন্সের ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। মোট ২৪টি টেস্ট, ২১টি ওয়ানডে ও ১টি টি-২০ খেলেছেন তিনি। এতে রয়েছে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলা ১টি টেস্ট, ৫টি ওয়ানডে ও ১টি টি-২০ ম্যাচ।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে শেষবার খেলার পর জিম্বাবুয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ইয়র্কশায়ার ছেড়ে দেওয়ার পর জিম্বাবোয়ের হয়ে খেলতে দুবছরের চুক্তিও করেন।
বুলাওয়োতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে করেন তার পঞ্চম শতরান সেঞ্চুরি। কেপলার ওয়েসেলসের পর দুই দেশের হয়ে টেস্ট শতরান করা দ্বিতীয় ব্যাটার হওয়ার নজির গড়েন তিনি। ২৫ মার্চ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও করেছেন অর্ধশতরান