W3Schools.com  

হঠাৎ উত্তপ্ত নাসিরনগর বিএনপি,দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত -৬

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া

দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকার পরও হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি।শোনা যাচ্ছে তারা বিভক্ত হয়ে পড়েছে মামুন আর সুখন গ্রুপে।দুই দিনে মামুন আর সুখন গ্রুপের লোকদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এখন এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। বিএনপির একাংশ উপজেলা বি,এন,পির কেন্দ্রীয় অফিস দখল করে মহড়া দিচ্ছে। 

বুধবার থেকেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ ঘটিকার সময় নাসিরনগর কলেজ মোড়ে ও রাতে আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা গুলো ঘটে।সংঘর্ষে গুরুতর আহত এম নাসির রহমান ও রায়হানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ হয়েছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির কমিটিকে কেন্দ্র করে সৈয়দ একরামুজ্জামান সুখন ও এডঃ কামরুজ্জামান মামুনের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হয়। কমিটি গঠনের পর ২৬ এপ্রিল খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ একরামুজ্জামান সুখন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা নাসিরনগরে আসেন । তার আগমনকে ঘিরে এডঃকামরুজ্জামান মামুনের পক্ষের লোকজন একরামুজ্জামানকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন বিকেলে দলীয় অফিস দখল করে মহড়া চালায়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে মহড়া। পরের দিন দুপুরে একরামুজ্জামান সদর ইউনিয়নের দাতমন্ডল গ্রামের একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে কলেজ মোড়ে হামলার শিকার হয়। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়।

আহতরা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এম নাসির রহমান, সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হান, সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল, যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. জামাল মিয়া ও উপজেলা জাসাসের সদস্য সচিব মো.সাদেক মিয়া।পরে আবারো রাত আট ঘটিকার সময় স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে মামুন গ্রুপের লোকজন হামলা চালিয়ে একরামুজ্জামান গ্রুপের লোক উপজেলা জাসাসের আহবায়ক সৈয়দ আবেদ উল্লাহ নিউটনকে মারপিট করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এডঃ কামরুজ্জামান মামুন বলেন, নাসিরনগর বিএনপিতে আমার কোন গ্রুপ নেই। বরং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে কিছু পোষা লোকের সঙ্গে দলীয় কর্মকাণ্ড করছেন একরামুজ্জামান। এসবের বিরোধীতা করছে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। তিনি ঢাকায় বসে কমিটি করে রাজনীতি করতে চায়। মূলত কমিটি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ থাকতে পারে বলে দাবী করেন তিনি।

আহত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হান দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে একরামুজ্জামান সুখনকে প্রতিহত করতে চেয়েছে বিএনপির কিছু বিপদগামী কর্মী।তিনি বলেন আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান বলেন, উপজেলা বিএনপির কোন নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেনি। আমাদের বিএনপির মধ্যে কোন ফাঁটল নেই। উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এম নাসির রহমানের সাথে ছাত্রদলের পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে দাবী করেন উপজেলা বি,এন,পির সভাপতি এম এ হান্নান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান,এঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ বা মামলা নিয়ে আসেননি।